শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১১

স্মৃতিতে FDD ও ফ্লপি ডিস্ক

সবার মতন আমিও ভুলতে বসেছিলাম। আসলেই আমরা কতটা সুবিধাবাদী। মনে পড়ে গেল, অব্যবহৃত তোমাকে দেখে। দেখা হত না; কিন্তু প্রতিদিনই তুমি শব্দ কর। কিছু সময় পিট পিট কর, অখন আমি পিসি টা চালু করি। উপেক্ষিত হও প্রতিদিন। আজ আবার হঠাৎ চোখে পড়লে; আর তোমার অজ্ঞাতে আমার মনে পড়ল সেই দিন গুলো।

সাল ২০০০, আমি প্রথম কম্পিউটার প্রশিক্ষনের জন্য খুলনা শহরে একটি নট্রামস্ অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে একদিন অন্তর একদিন যাতায়াত শুরু করেছি। খুবই উত্তেজনা ও অনুরাগ কম্পিউটারের প্রতি। বাড়ী থেকে কম্পিউটার কিনে দিনতে আগ্রহী নয় সেই সময়ে। খুব ইচ্ছা হত কিছু একটা কিনি। তখন চোখে পড় তুমি। তোমার ক্ষমতা দেখে আমার একটুও মনে হয়নি তোমার মূল্য অতটা কম। কত কিছু রাখা যায় তোমার মগজে। একদিন সাহস করে একটি কম্পিউটারের দোকানে ঢুকে পড়ি; কিনে আনি তোমাকে। তার পর থেকে প্রতি দিন সংগে নিয়ে যেতাম পকেটে করে। খুব গর্ব করতাম তোমাকে সংগে রেখে।

ব্যবহারের থেকে তোমার সান্নিধ্যটাই ছিল আমার কাছে অনে আনন্দের। কত কিছু করা যেত। পরবর্তীতে পিসি কিনলে সবার আগে আমার নজর ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভ কেনবার বিষয়ে। ব্যহারের জন্য কিনেছিলাম ১ ডজনের বেশী ডিস্ক। তার পর আস্তে আস্তে কখন থেকে যে তোমার প্রতি মোহ কাটে গেছে সেটা বুঝতে পারিনি।
কিন্তু আাজ তোমাকে হটাৎ করেই যেন খুব বেশী মিস করছি। ভালো থেকো তুমি।।

একটি এসএমএস: উদ্ভাসিত আগমনী বার্তা

উদ্ভাস ব্রজের আগমনী জানাতে যে খুদেবার্তা পাঠিয়েছিলাম:
A divine messenger has come to call me papa. Kindly pray for his physical, emotional, intellectual and spiritual growth for this world. He is fine with his mom.

সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১১

সন্তানের জন্য যাত্রা শুরু

ছুটি নিয়ে অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম সন্তানের আগমনের সময়টাতে তার পাশে থাকবার জন্য। অনেক যোগ বিয়োগ করপে ১ সপ্তাহের একটা বুঝ তৈরী করেছিলাম। আগে একবার যেয়ে ফিরে আসি; পরের বার যাওয়ার আগে তাই বার বার হিসাব করে রওনা দিয়া। ৮ তারিখ দুপুরেই অফিস থেকে বের হওয়া। উদ্দেশ্য ১০ তারিখ স্ত্রীকে নিয়ে ক্লিনিকের উদ্দেশ্য রওনা দেওয়া। মাওয়া ঘাটে সন্ধ্যার শেষ লঞ্চের যাত্রী আমি। মাওয়া ধেকে খুলনা যাওয়ার মাইক্রোবাসও পথে খারাপ হল দু'বার। পথি মধ্যে দাদার সাথে ফোনে আলাপন; আলাপন ছিল শ্যামল দার সাথেও। যাহো কোন মতে ফকিরহাট যেয়ে পৌছালে দাদা এসে মোটর সাইকেলে করে বাড়ীতে নিয়ে যায়। তখনি শুনলাম,সন্তান আগমনের আঁচ কিছুটা পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু আজকেই নয়। বাড়ীতে যেয়ে খেতে বসলেই বুঝতে দেরী হয়নি আজকের রাতটি অনিদ্রাতেই কাটবে।
খেয়ে উঠেই ফোন করা হয়, ডা: লাকীর ক্লিনিকে। বারংবার অনুরোধের পরেও তারা সেরাতে যেথে নিষেধ করে বলে পাশ্ববর্তী কোন হাসপাতালে নিয়ে যেতে। কিন্তু আমরা সাহস না পাওয়াতে অনেকটা উদ্দেশ্যহীন ভাবেই মাইক্রোভারা করে আনার জন্য মেজ মামাকে ফোন করা হয়। মামা দেরী করে নি। অসুস্থ শরীরে শ্যামল দা আমাদের বাড়ীতে আসেন এবং বলেন এই মুহূর্তে সব থেকে ভালো সিদ্বান্ত হবে খুলনা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া; কারণ ওখানে যতটা চিকিৎসাজনিত সুবিধা পাওয়া যাবে অন্য কোন প্রাইভেট ক্লিনিকে তার কানা কড়িও পাওয়া যাবে না।
অনুরোধের কারণে শ্যামল দা অসুস্থ শরীরেও আমাদের ষাথে যেতে রাজী হন। যদিও উনি শেষ রাতের দিকে বাড়ীর উদ্দেশ্য রওনা হয় সঙ্গে আমার একমাত্র সম্ভল দাদকে নিয়ে। ভর্তি করা হয় লেবার এর জেনারেল ওয়ার্ডে। উদ্দেশ্য ছিল কেবিনে ভর্তি করা। কিন্তু সবাই পরামর্শ দিল, কেবিনে ভর্তি হলে রাতে বার বার ডাক্তাররা যেয়ে দেক আপ করতে আগ্রহী হয় না। সূতরং আপাতত কাছে থাকাটাই ফলপ্রদ হবে।

রুমের মধ্যে প্রবেশ মাত্রজ আমার মধ্য একটা প্রশ্ন দেখা দিল এখানে যেসব ডাক্তাররা ডিউটি করে তারা কিভাবে সেখানে অবস্থান করে। প্রতিনিয়ত হবু মাদের চিৎকার ও চেঁচামিচি নির্দয় মানুষকেও আবেগ তাড়িত ও ভীত করে তুলবে। সারা রাত সেই দৃশ্য অবলোকন করার মধ্যে দিএয় বোধোদয় এখান থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বের হওয়া দরকার। আআমার স্ত্রীর কিছুটা নরমাল ডেলীভারীর ইচ্ছা তাকলেও ওখানে যেযে সেটুকুও দূর হেয় গেল। শ্যামল দাকে বাড়তে এগিয়ে দিয়েই দাদ আবার ফিরে আেস আমার কাছে। সকাল হতে না হতেই ক্লিনিকের সাথে যোগাযোগ করে রওনা দিলাম তার উদ্দেশ্য। সেখানে যেয়ে খুব বেশী দেরী করেত হয়নি। সবাই যেন আমাদের জন্যিই প্রস্তুত ছিল।

অবশেষে সকাল ৯:৪৫ মিনিটে সন্তান তার মায়ের শত কষ্টের অবসান ঘটিয়ে আলোর মুখ দেখে এই ধরণীর। ওর উৎসুক, উৎফুল্ল, উদ্ভাসিত চোখগুলো আমি কখনও ভুলব না।

সতেজ সম্পর্ক ও প্রথম সন্তান

বেশ কয়েকদিন লেখা হয় না। অনেক কিছু হয়েছে এর মধ্য।
গত ৯ই ডিসেম্বর আমি একটু পুরাতন প্রজন্ম হলাম; (অভিজ্ঞ নয়)। আমার স্ত্রীর কোল জুড়ে ( আমার কোলে এখনও সেভাবে রাজত্ত্ব কায়েক করে পারে নি) এসেছে আমাদের প্রথম সন্তান। ওর দৃষ্টি খুব প্রখর ও অনুসন্ধিস্যু। তবে একটু বেশীই কাঁদে; জানি না ভবিষ্যৎ আন্যদের কাঁদানোর কোন পরিকল্পনায় মত্ত কিনা! ওর কান্না শুনে একটি কবিতা আমার মনে পড়ে। কবিতাটির লাইন গুলো হয়ত বা পরিবর্তিত হয়েছে; কিন্তু ভাবটা খুব বেশী পরিবর্তিত হয়নি বলেই আমার ধারণা

প্রথম যেদিন তুমি এসেছিলে ভবে
কেঁদেছিলে তুমি একা, হেসেছিল সবে
এমন জীবন তুমি করিবে গঠন
মরণে হাসিবে তুমি, কাঁদিবে ভুবন


আমার সন্তান আর ও মাকে নিয়ে ব্যাস্ত থাকবার কারণে ধারাবাহিক ভাবে পোস্ট গুলো দেয়া হয়নি। আস্তে আস্তে দেবার চেষ্টা করব।

শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১১

বিনোদিনী'র শত তম প্রদর্শনীতে আমি

কখনও নাটক দেখতে গেলে আগে থেকে পরিকল্পনা থাকে। আজ একটু আকস্মিক সিদ্বান্তে গেলাম। যদিও এই উদ্দেশ্যই প্রথম আলোর বিনোদন পৃষ্ঠাটি খুলে ছিলাম। পেয়ও গেলাম; আজ ছিল 'বিনোদিনী' নাটকের শততম প্রদর্শনী। এইজন্য আগ্রহটা একটু বেড়েই গেল। নাটক দেখি আর না দেখি শত তম প্রদর্শনী কিভাবে পালিত হয় সেটা আবশ্অই দেখা দরকার। যার হাত ধরে মঞ্চনাটক দেখার যাত্রা শুরু, মুক্তার ভাইকে সাথে না রাখলে চলবে কি করে। আবশেষে হাজির সবাই।


নাটক: বিনোদিনী
প্রযোজনা: ঢাকা থিয়েটার
নির্দশনা: নাসির উদ্দিন ইউসুফ
অভিনয়ে: শিমুল ইউসুফ

এটি একটি একক নাটক হলেও, অভিনেত্রীর একের ভিতর বহুর অভিনয় দক্ষতায় পুরোটা সময় মন্ত্রমুগ্ধের মত উপভোগ করতে হয়। শুধু অভিনয় নয়, নাটকের প্রেক্ষাপটটা দর্শকের মন কে আলোড়িত করবে। শিমুল ইউসুফের গায়কী দক্ষতা ও সুর সৃষ্টি করে এক নতুন মাত্রার। নাটকের আবহ সংগীতও পুরোটা নাটকের উপর খুব সুন্দর ভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে। এক কথায় সন্ধ্যাটার সৌন্দর্য্যই পাল্টে যাবে যেদিন নাটক টি দেখা হবে।

বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১১

মীরাক্কেলের এক প্রতিযোগী সুব্রত রায় ও কিছু উপলব্ধি

মীরক্কেল আমার জীবনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে; কোন কিছু রুটিন মেনে না করলেও মীরক্কেলের দর্শন আমি যতাসম্ভব ঠিকঠাক মত করবার চেষ্টা করে থাকি। অনেক কিছু শিখি, মজার মজার জোকস গুলো সেভাবে মনে রাখতে না পরলেও তার ম্ধ্যমে বের হয়ে আসা জীবন নিগড়ানো অভিজ্ঞতাগুলো আমি সহজে ভুলতে পারি না। অনেক কিছু মনে করিয়ে দেয় আমার নিজে‌র জীবনের অনেক গল্পকে। মীরক্কেল একে একে এগিয়ে এখন ৬ এসে চলছে। অনেক প্রতিযোগীই এসেছিল এখন কমতে কমতে এসে অল্পে ঠেকেছে। তার মধ্য একজন সুব্রত রায়। প্রথমদিকে ছেলেটি অনেক অবহেলিত হয়েছে,হয়েছে অনেক ভুল বিচারের শিকার। তারপরেও ছাই এর মধ্যে লুকানো আগুন ঠিকই পিটপিট করতে করতে এখন জ্বলজ্বল করে জ্বলতে শুরু করেছে।
দুর্ভাগ্যবশত একবার বাদ পড়েছিল; কেন সেটা হয়ত তারাই জানে। কিন্তু তার যে আসল ক্ষমতা, সরলতা, তার জোরেই সে আবার এসেছে। আজ তাকে নিয়ে ব্লগ লেখার কোন উদ্দেশ্যই আমার ছিল না। আমি লিখছি তার অলৌকিক উৎসর্গ করার ক্ষমতা দেখে, তার প্রতিটি পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে আমার বার বার মনে হয় নিজের কাজ টাকে কতটা ভালোবাসতে হয়, ভালোবাসতে হয় পাগলের মত। ষফলতা সেখানে আসবেই। সেই ই সর্বোত্তম, অনুষ্টান থেকে যতই ছিটকে যাক না কেন। সে মানুষ হাসাই বস্তাপচা একঘেয়ে কৌতুকের প্যানপ্যানানী, চেহারার জৌলুস আর সমবেদনা নিয়ে না; সে হাসাই নিজের মন থেকে উঠে আসা শত অবিচার, বেদনা ও সরলতার মধ্য দিয়ে। সবাই কে দেখলে আমার খুব হিংসা হয় তোমাকে দেখলে আমার খুব সাহস লাগে, আমার মন আমাকে বলে "তুমি ভালোবেসে চালিয়ে যাও, মনে কর এখন থেকে তুমি সব পারবে"।

বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১১

পরিবর্তনের আশায়

আগামীকাল বাড়ীতে যাব, বিশাল একটি শুভ পরিবর্তনের আশায়। স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যহত থাকলে ৪ তারিখের দিকে ফিরে আসব। এত দিনের ছুটি পেতাম না এক সাথে। ঈদের সময়ের পাওনা কিছু ছুটি যোগ(বিয়োগ) করে মিলিয়েছি। তারপরেও কষ্ট লাগে, প্রোফেশানালের দোহাই দিয়ে মানুষের মানবিকার ঘটতি যখন চোখে পরে। মানুষ না হলে তো কারোর কোন পেশা থাকত না, কিন্তু মানুষ সেটাকে ভুলে যেয়ে যখন নিজেদেরকে পেশাজীবি মনে করা শুরু করে তখনই পাশবিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। দু:খ লাগে কেন আমি পেশাজীবি (পাশবিক) হতে পারছি না। ফাঁকি দিতে এইসব পোশাজীবিই উদ্ভুগ্ধ করে বাকী সব নিপীড়িত মানুষগুলোকে।
কাউকেই কিছু বলিনি বলতে গেলে, সেটা আমার সহজাত প্রবৃত্তি। জানি সবাই ভুল বুঝবে; কোন দু:খ নেই। ওটা আমার সাথে সব সময় থাকে।

সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০১১

নির্মমতা, নির্দয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে

নিজেকে নিয়ে আমার নিজের খুব ভয় হয়। আমার নির্মমতা, নির্দয়তা দিন দিন যে হারে বেড়ে চলেছে তাতে আমি বড়ই বিচলিত। কখনও কখনও বুঝতে পারি আমি ভুল করছি, কিন্তু নিজের জেদ বজায় রাখবার জন্য সেটা বন্ধ করতে পারি না। সব কিছুকে আমি নিজের মত দেখতে চাই, ভুলে যায়যে কেন অন্য কেউ আমার ইচ্ছা মত হতে যাবে। বদরাগী, মাথাগরম আর অহেতুক বাঁচাল প্রকৃতির বৈশিষ্ঠ্যর সন্মেলন হচ্ছে আমার চরিত্রে; নিজেকে বশে আনতে পারছি না।

আমার সেই দিন গুলোর কথা খুব মনে পড়ে, আমার দাদু যখন মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তখনও তাকে আমি মুক্তি দিই নি এই রাগ ও জেদের বশবর্তী হয়ে। পাপের শাস্তি পেয়েছি, বিলম্ব হয়নি, সামনে হয়ত আরো পাবো। কিন্তু দাদু, আমি সেই সব দিন গুলোর জন্য সত্যিই অনুতপ্ত। নিজের অজান্তে প্রায়শই কথা গুলো মনে পড়ে আর কষ্ট লাগে তোমাকে মানসিক কষ্ট দেবার জন্য। আমাকে ক্ষমা করে দিও। আর আমার জন্য প্রার্থনা কর, আমি যেন ধীর বুদ্ধিসম্পন্ন ও মার্জিত হতে পারি। নিজের রাগকে বশে আনতে পারি ও সেটাকে ভালো কাজে ব্যায় করতে পারি।

সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১১

আমার মনকষ্ট ও এপিজে আব্দুল কালামের দেহতল্লাসী

টেলিভিষন সংবাদে যখন সংবাদটি দেখলাম, একটু না চমকিয়ে পারলাম না; আপনিও চমকিত হবেন। ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কে আমেরিকার বিমান বন্দরে প্রথমবার দেহ তল্লাসীর পর, পরবর্তীতে আবারো বিমান থেকে নামিয়ে জুতা ও কোট খুলে দেহ তল্লাসী করা হয়েছে। এর আগেও একবার তার সাথে আমরিকার আর একটি বিমান সংস্থা একই রূপ আচরণ করেছিল। এমনকি পরিচয় দেবার পরও তিনি বিন্দু মাত্র ছাড় পাননি।
আমেরিকায় জানে কিছ পাওয়ার আশায় নাকি, ভারতকে মানসিক ভাবে প্রতিহত করবার জন্য তাদের এই শো-ডাউন।
আমার ব্যক্তিগত ব্লগে এই সংবাদ টাঐপ করে প্রকাশ করবার মত কোন উদ্দেশ্য আমার ছিল না। কিন্তু নিজের মনের একটা দু:খ যেটা আমি সব সময় বহন করে বেড়িয়েছি সেটা জানানোর জন্যই এই লেখা।
বিদেশভ্রমন বলতে আমার একটিই দেশ, ভারত। পড়াশোনার জন্য বেশ কয়েকবার আশা যাওয়া পড়ত। যেহেতু বাড়ী ছেড়ে আমার ভালো লাগতো না আর যেহেতু মাল্টিপল এন্ট্রি স্টুডেন্ট ভিসা পেতাম, সেটার সদ্বব্যবহার আমি করতাম ঘন ঘন বারী আসার মধ্য দিয়ে। আর এজন্যই যত বিপত্তি ছিল আমার। এমিগ্রেশনে আমাকে একটু স্পেশাল পরিচর্চা করা হত। জানি না, আমার রূপ ও লাবন্য কতটা মুগ্ধ ছিল তারা। প্রায়ই আামাকে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাসী করা হত। এমনকি এক শীতের সময় আমার জ্যাকেট খুলা হয়েছিল চেক আপের জন্য। একবার জুতা মোজা খুলে চেক করেছিল। আর এজন্য আমার একটি সুপ্ত মনকষ্টে আমি ভুগতাম। সুযোগ পেলে একে ওকে বলতামও। আজ ভাবলাম কীসের কষ্ট আমার? এপিজে আব্দুল কালাম স্যার হলে, আমিতো কোথাকার কোন ছারপোকা!

রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১১

মাঝে মধ্যেই এটা হয়

হঠাৎ করে করে মন টা খারাপ হয়ে যায়, দু:চিন্তা হয়; কিস্যু ভালো লাগে না। আজকে সন্ধ্যার পর থেকে ঠিক সেরকমটাই হয়েছে। কিছুটা আঁচও করতে পারছি কেন লাগছে এরকম। আসলে, বোকার সর্দার হওয়ার থেকে, জ্ঞানীর জুতা বহন করা ঢের ভালো। ছোট বেলার শোনা মহৎ বানী গুলো দিন দিন কেমন যেন ব্যবহারিক ক্লাসের মধ্যে দিয়ে আমাকে শিক্ষা দিচ্ছে। শিক্ষাটা ভালো লাগছে, কিন্তু দু:সহ ব্যবহারিক ক্লাসটার সময়টয় কম হলে ভালো লাগতো!!

শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০১১

মঞ্চনাটক: পাখি, শ্রীমতির স্বামীর কাছে শ্রীমানের মিথ্যা ভাষণ

যাবনা যাবনা করে অবশেষে চলে গেলাম; আজ আমি মামুন ভাইয়ের সাথে। টিকিঠ উনি সংগ্রহ করে রেখেছিলেন, নতুবা পাওয়াটা নিশ্চিত ছিল না। ঈদের ঘোরাঘুরির রেশ এখনও বাংগালীর কমেনি। সেটার প্রভাব এখানেও পরেছিল।
আজ দেখলাম ব্যাতিক্রম প্রযোজনার নাটক। এক টিকিঠে দুটি নাটক কিংবা অন্য কিছু দেখবার অভিজ্ঞতা এটাই প্রথম। তো তখনই বুঝতে পারলাম, ২য়টি দেখার কেউ নেই, এজন্য জোর করেই হয়ত ফ্রি দেচ্ছে।তবে অনেকে ফ্রিও গিলতে চায়নি। এজন্য কিছু অংশ হবার পর বের হয়ে গেছে।
নাটক দুটি ছিল:
পাখি
রচনা: মনোজ মিত্র
নির্দেশনা: সাইফিল ইসলাম সোহাগ

শ্রীমতির স্বামীর কাছে শ্রীমানের মিথ্যা ভাষণ
রচনা: বার্ণাড'শ
অনুবাদ:কবীর চৌধুরী

ভালোই লাগল। কিছু কিছু অংশ জীবনের খুব কাছে থেকে দেখা মনে হল। দ্বিতীয় নাটকটি ছিল অনুবাদের। বিদেশী নাটক গুলো শুধুমাত্র অনুবাদ করেই ক্ষান্ত দেয়া উচিত না, প্রেক্ষাপট টাও বিবেচনা করে সেভাবে উপস্থাপিত হলে দর্শক অনেক আনন্দ পাবে বলেই আমার ধারনা।
নাটক দেখার পাশাপাশি বিনামূল্য দেখা পেলাম ফজলুর রহমান বাবুর; উনি আমার একজন খুবই প্রিয় অভিনেতা।

বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০১১

উপলব্ধি: ঈশ্বরই আমার প্রয়োজন জানে, আমি না

উপলব্ধি ও অভিজ্ঞতার মধ্যে একটু পার্থক্য আছে। অভিজ্ঞতার ভিতর থেকে যে নির্যাসটুকু মন গ্রহন করে নেয় সেটাই উপলব্ধি। সব কিছুর মতই উপলব্ধি সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে পারে; কিন্তু সেটার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। চলমান জীবনে আমার উপলব্ধি খুব বেশী না; সেগুলো আবার প্রায়শই হারিয়ে যায় মনের ভিতরে; কিছু কিছু ঘটনা আবার সেটাকে জাগিয়ে তোলে।

আমাকে আমার বাবা মা কিংবা ঈশ্বর একটু বেশীই ভালোবাসে। তারা খুব সহজেই যেকোন দাবী মেনে নেয়। ঈশ্বেরের কাছে, আমি এমন কিছু নেই যা চেয়ে পাইনি। তেমনি বাবা মা'র কাছেও। আর এসব চাওয়া জিনিস পরবর্তীতে আমার জীবন কে যে ভাবে আন্দোলিত করেছে, তাতে একটা উপলব্ধি হয়েছৈ আমার। যারা আমাকে খুব ভালোবাসে, তাদের কাছে কোন নিদিষ্ট আবদার করতে নেই। যেহেতু তারা আমাকে ভালোবাসে ও জানে, তারা এটাও জানে কোন জিনিস টা আমাকে মানায় কিংবা কোন দ্রব্যটি আমার উপকারে আসবে। ঈশ্বেরর কাছেও একটাই কামনা, আমি জানি না কিসে আমার ভালো আর কিসেই বা খারাপ। সর্বজান্তা তুমি, তুমিই জানো আমার জন্য কেনটা ভালো হবে। তোমাদের কাছে আমার আর কিছু চাওয়া নেই।।।।।।

মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০১১

সমীনরণ দা ও জলি দি'র তনয়ার জন্য

হঠাৎ করেই মন থেকে বের হল লাইন গুলো। উদ্দেশ্য একজনই- প্রিয় সমীরণ দা ও জলি দি'র নবাগত কন্যাটির উদ্দেশ্য। ও বুঝতে পারবে না এখন হয়ত। কিন্তু আমার বিশ্বাস ওর বাবা মায়ের ভালো লাগলেই ও সেটা অনুভব করতে পারবে।

তোমারি হাসিতে পাবে যে ভয়, সহস্র দু:খ কষ্ট
কতযে অসময় হবে দু:খী হইয়া লক্ষ্যভ্রষ্ট-
সব আনন্দ হবে যে ব্যাকুল সহচরী হতে তোমার
অনন্ত সুখে রাখুক ঈশ্বর, প্রার্থনা আমার


আমার ইচ্ছা ও বুঝতে শুরু করার পর ওকে এই লাইন গুলো শুনাবো। ও নিশ্চয় খুব খুশি হবে; কবিতার জন্য না, জন্মক্ষনের এই জিনিসটিই শুধুমাত্র ও নাগালে পাবে; আর কিছুই না। ধরনীতে আসার পর, ওর উদ্দেশ্য প্রথম কবিতা এটি। আমারও প্রথম, কোন নবাগতার জন্য


বি:দ্র: কোন অনুমোদিত নাম না থাকায়, নামটি ব্যবহার করা হল না তোমার-তনয়া

ঈদের দায়িত্ত্ব

আর এক ঘন্টা পর আমার ঈদের বিশেষ দায়িত্ত্ব শেষ হবে। তিন মেয়াদে মোট ৩২ ঘন্টা বলতে গেলে একাই কাটালাম। এক অপূর্ব আভিজ্ঞতা ও সময় পার করলাম। কিন্তু এত সুন্দর সময়ের মধ্যে সেভাবে আমার প্রিয় কাজ বল্গ লেখা হয়ে ওঠে নি। এজন্য শেষ মূহুর্তে একটু হালাল করছি সময় টাকে। অন্য সব ঈদের দায়িত্ত্বের মত এবারের দায়িত্ত্বটা টিভি দেখে পার করতে পারলাম না। সামান্য টুকুও আফসোশ নেই তার জন্য। শুধু সফট্ওয়ার প্রকৌশলের মধ্যই ছিলাম( আমি প্রোগ্রামিং শব্দ টা খুবই অপছন্দ করি)। কিন্তু তার পরেও জানি তাকে আমি খুশি করতে পারব না আমার অগ্রগতি দিয়ে। আরেক জন কে সাথে রেখেছিলাম; তিনি সোমলতা আচার্য্য। আমি অনেক আগে তার গান শুনেছি তিনি তখন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী নয়। সব দিক থেকেই ভালো লাগতো। এখন নিয়মিত গান করে; প্রয়োজন ছিল ইনার মত একজন বহুমুখী শিল্পীর। উনার গান শুনতে শুনতে সব সময়ই এটা মনে হয়েছে।
সর্বোপরি ঈদের ছুটিটা খুবই দরকার ছিল। কারণ আমার ছুটির দরকার। ঈদের সময় ছুটিটা না পেয়েই ভালো হয়; নিজেরও কষ্ট আর অন্যদেরকেও যানবাহনে ভিড় বাড়িয়ে কষ্ট দেয়া।

ওহ, আরেকটি বিষয় আমাকে মনে রাখতে হবে- আগে ধারণা ছিল ঈদের দায়িত্ত্বে আসলে কোন কাজ নাই। এবার উপলব্ধি হল, দায়িত্ত্ব আসলেই দায়িত্ত্ব; অনেক কিছুই সজাগ ভাবে দেখার প্রয়োজন আছে।

যাই হউক; ঈদের দায়িত্ত্ব, তোমাকে ৯টি মাস খুবই মিস্ করব।

স্টীভজবস্ কে নিয়ে

ডিসকভারী চ্যানেলে গতকাল রাতে স্টীভজবস্ কে নিয়ে iGenious নামক একটি অনুষ্ঠান দেখলাম। সব কিছু বুঝতে পারিনি স্যাটেলাইট ও আমার মস্তিস্কের পুরু প্রাচীরের জন্য। তার জানা দুটি কথা নতুন ভাববে শুনতে পেলাম।

স্টীভজবস্ বিশ্বাস করতেন,নরম ও সরল কিছু করতে হলে অবশ্যই সৃস্টিকারীকে শক্ত হতে হবে। আর কোন কাজ কে জটিল করার মধ্যে কোন বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায় না। আসল বুদ্ধিমত্তার পরিচয় একটি জটিল কাজকে যতটা সম্ভব সহজ ও সরল ভাবে করার মধ্যে।

বস হিসাবে স্টীভজবস্ খুবই কঠিন মনের মানুষ ছিলেন একজন। কখনও কখনও ুনি প্রকৌশলীদের রাগ করে বলতেন- কাজটা শেষ না করে মুখ দেখাবে না আমাকে। তার সাথে থাকতো তার অত্যাধিক কাজের চাপ। মূলত এরকম কিছু কারনের জন্যই তাকে ছেড়ে যেতে হয়েছিল নিজের এ্যাপল কে। যদিও সবই ছিল নিজের স্বপ্নকে পূরন করবার জন্য

মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০১১

সহকর্মী মামুন ভাইয়ের সাথে,মঞ্চনাটক-বারামখানা

রিপোর্টিং বস্ নাই, অফিস প্রধানও অন্য অফিসে ব্যস্ত থাকায় অনেক দিনের লালায়িত স্বপ্ন টি সত্য করে ফেললাম। অনেক দিন পর আমার ভালো লাগার মত একটি মঞ্চ নাটক দেখে এলাম; যদিও পরিপূর্ন তৃপ্তি বোলতে যেটা বুঝায় সেটা পাইনি। উদ্দেশ্য ছিল অন্য একটি কিন্তু সেটার অনুপস্থিতির জন্য আরেক টি দেখলাম। সাথে সাথে আরেক জনের হাতেখড়িও হল। আমি নিশ্চিত, আমি কখনও নাটক দেখা ছেড়ৈ দিলেও সে ছাড়বে না। পূর্ব ইতিহাস আ‌মার সেটাই বলে। আমি যাকে সিগারেট খাওয়া শিখিয়েছি, সে এখন আমার সামনে বসে একের পর এক সিগারেট ফুঁকে যায় যেখানে আমি মানুষের সামনে সিগারেট টানেত খুবই অপছন্দ করি। আমার প্রিয় মামুন ভাইয়ের ক্ষেত্রে একি রকম কিছু হলে আমার ভালো লাগবে। আজকের দেখা নাটক টি হল- বারামখানা। নাটকের প্রথমাংশ আমাকে ওভাবে টানতে পারেনি, সম্ভবত প্রধান চরিত্রের দূর্বলতার জন্য। কিন্তু নাটকটিতে বাংলাদেশের একটি নাট্য পরিবার কে এক সাথে পেয়ে ভালো লাগলো নি:সন্দহে। ত্রপা মজুমদারের সাথে তার বাবা ও মা ,রামেন্দ্র মজুমদার ও ফেরদৌসী মজুমদার। নাটকটি পরিবেশনায় ছিল থিয়েটার। জাতীয় নাট্য শালায় এটা আমার প্রথম নাটক দেখা। সব কিছুর মধ্য টকটি বিষয়ে খুনই হতাশ হলাম, প্রথম আলোর মত একটি পত্রিকাতে প্রকাশিত হবার পরও ও কেন একটি নাট্য সম্প্রদায় তাদের পূর্ব নির্ধারিত মঞ্চায়ণ থেকে সরে যায়। এটা শুধু মাত্র দর্শক দের বিরক্তই করবে না, তাদের অনেক কিছুর প্রতি তাদের ঋালো ধারণদা গুলো কেও নষ্ট করবে।

মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১১

চরম ফালতু দিন পার করলাম, না কী এটা শুরু?

দিনটি যে কিভাবে গেল; একটুও ভালো লাগা অনুভূতি নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠা দিয়ে শুরু করে। সারাদিন সিকিমুঠো খেয়ে কাটালাম। রৌদ্রজ্জ্বল সুন্দর দিনটাতে ঈশ্বর আমাকে ছাতা মাথায় দেয়া স্বত্ত্বেও কুকুরের থেকে খারাপ ভাবে ভিজালো।অফিসে সকাল থেকে কাজ শুরু করে রাত ১০ টা পর্যন্ত কাজ করা স্বত্ত্বেও কোন কাজে কোন সথলতা পেলাম না। এরকম অনেকদিন হয় না। আজ হল। মাথার মধ্যে ঝিনঝিন করছে, রাগও হচ্ছে সেরকম। পুরো ফালতু দিন। আগামীকালের কথা মাথায় আসলে আরো রাগ হচ্ছে। আমার খুব ভালো করে জানা আছে, আজকের বিথলতার চাপ আগামীকাল আরো বেশী ভোগাবে। একটা কড়া ঘুমের দরকার। রাত ৩ টা পর্যন্ত হোম, ষজ্ঞ, আরোধনা করলেও উনি আমাকে ধরা দিতে চান না। মাথা খুবই খারাপ। চেচাতেইচ্ছা হচ্ছে। এরকম দিনে বল্গ লৈখার মতন অবস্থা না, কিন্তু এরকম একটি দুস্প্রাপ্য দিনকে লিখে না রাখলে কি করে হয়। কেউ কি আর কী এর পার্থক্য জানলে, মন্তব্য তে লিখে দিয়েন।।।।।।।।। বি:দ্র: হয়ত বিশ্বাস করবেন না, পোস্টটি দিতে এত বেগ পেতে হল; কোন দিন ব্লগে লেখার পর পোস্ট দিতে যেয়ে এত কষ্ট হয় নি।

শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১১

Eid Duty

ঈদের দিন গুলোতে অফিসে দায়িত্ত্ব থাকে। ভালোই লাগে এ সময় টাতে। এমনিতেই ঈদের ছুটিতে বাড়ীতে যাওয়াটা খুব ই কষ্টের কাজ যাতায়াত সমস্যার কারণে।আর ঈদের সময়টাই তো ঢাকা কে উপভোগ করবার একমাত্র সময়(যদিও আমি কখনও সেভাবে করি না)। অফিসে এসেও খুবই ভালো লাগে। একটি অন্যরকম অফিসের আস্বাদ পাওয়া যায়। সালাম দেবার ঝামেলা থাকে না; ভীত সন্ত্রস্ত হবার ও দরকার হয় না। কাজ বলতে তেমন কিছুই থাকে না। বেশীর ভাগ সময়টা কেটে যায় টেলিভিশনের ঈদের অনুষ্টান দেখে। তবে একটা সমস্যা রয়েছে- বাস পাওয়া নিয়ে। বাস পেয়ে গেলে খুব বেশী সময় লাগে না বাসায় যেতে, কিন্তু সেটাকে পাওয়াটাই সমস্যা। এখন ডিউটিতেই আছি; কি আর করি! সময়টা কাটানোর চেষ্টা করছি। আমার আবার ঘুমের খুব প্রাদুর্ভাব। ভদ্রলোক আমাকে খুবই এড়িয়ে চলে। উনি বিশ্বাস করে না যে উনাকে আমি খুব একটা পছন্দ না করলেও এই সময়টাতে করে থাকি।

শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১১

না কবিতা::: কালের আবর্তে আমি , javamail, cron

একটি কবিতা লিখলাম------"না কবিতা::: কালের আবর্তে আমি "

javamail: The API of java to send mailby accessing the service of mail server.
Java code has been designed to send mail using javamail. Post at Paulsoftech

cron: part of Google Web engine. cron helps to perform scheduled work defined at the cron.xml file.
cron in detail

নতুন যা শিখলাম- যাত্রা শুভ হউক

একটি নতুন চিন্তা মাথায় অনেক দিন ধরেই আসছিল, কিন্তু করা হচ্ছিল না। এখন করব। তেমন কিছু না, শুধু মাত্র একটি নতুন পদক্ষেপ।
আমরা প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখি প্রত্যেকেই। কিন্তু সবাই ভুলে যায় কবে কি শিখলাম; এমনকি অনেক শিক্ষা আমরা নিই, কিন্তু সেটা শিক্ষা মনে হয় না। এখন থেকে কোন দিন কোন নতুন কিছু জানলে বা শিখলেই সেটা 'নতুন যা শিখলাম' ট্যাগের মধ্য নোট করে রাখার চেষ্টা করব।

শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০১১

নষ্ট ছুটির দিন

প্রতিটি ছুটির দিনই একই ভাবে নষ্ট হচ্ছে। খুব দু:চিন্তায় আছি এটা নিয়ে। ছুটির আগের রাতে ঘুম আসে না, ানেক রাতে ঘুমাই। আর ছুটির দিনে ঘুম থেকে উঠি মধ্য দুপুরে। একটি মানুষ সদৃশ প্রানীর জীবন এভাবে চলতে লাগলে তো সামনে ঘোর তিমিরাচ্ছন্ন। দিন গুলো প্রতি নিয়ত নষ্ট হচ্ছে। পতিটা ছুটির রাতে মনে হয়, সামনের দিন থেকে আর এরাকম করব না, কিন্তু আমি ব্যর্থ। নিতের এই পঁচে য়াওয়া নিয়ে খুব ি ক্ষট হয়। কাজের কাজ কিছু করা হচ্ছে না। পড়াশোনাও করি না যেটা ক্রমশ দূরে চলে যাচ্ছে।কি করব আমি, সেটা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। প্রভু ানুগ্রহ করে আমাকে সঠিক পথে চালনা কর। আমি আর পাচ্ছি না

শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১১

মিশুক মুনীর, জানি আপনার কাছে কখনও এটা পৌছাবে না

আমার সময়টা কেমন যাবে, সেটার খবরাখবর আমি একটু আগে থেকে নিতে ভালোবাসি। আর এজন্য আমি সব সময় রাশীফল বিশ্বাস করি প্রচন্ড ভাবে। আর কারোর সাথে এটা খুব বেশী না খাটলেও, আমার সাথে একটু বেশীই মেলে। গত একমাস আগে আমি দেখেছিলাম, চলতি দু'মাস আমি পরিচিত কারোর আকস্মিক মৃত্যু সংবাদ পাবো। একটা যথারীতি পেয়ে গেছি ২ সপ্তাহ আগে; আরেকটা পেলাম। আপনার মৃত্যু সংবাদ টি শুধু দেশ নয়, গোটা বিশ্বের কাছে একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ সংবাদ। কিন্তু আমার কাছে এটি খুব একটি সাধারণ পর্যায়ের নয়।
অফিসের কাজের পাশাপাশি যে কাজটি আমি খুব ভালোভাবে করি সেটা হল, নিয়মিত টেলিভীশন দেখা। আর এটিএন নিউজ আমার সারা দিনের সংগী। জানি না, কেন এত ভালো লাগে। টেলিভিশন টির সুবাদে আপনার সৃষ্টিকর্ম সব সময় দেখবার পাশাপাশি, আপনাকেও কয়েকবার দেখার সুযোগ হয়েছিল। এবং শুধু দর্শন মাত্রই আমার ধারণা হয়েছিল, আপনি একজন কাজ পাগল ও সৃষ্টিশীল মানুষ বাদে অন্য কিছুই হতে পারেন না। আপনার চোখেই আমার মত সাধারণ দর্শক টেলিভিশনের মাধ্যমে গোটা সমাজ কে দেখি। সেই চোখ দুটো আমরা হারালাম। জানি না আর কখনও আপনার মত চোখ পাবো কিনা, যেখানে আমার মত মানুষের চোখ মিলিয়ে নিতে পারবে। আপনার আরো কিছু পরিচয়, জানতে পারলাম আপনি ও পারে চলে যাবার পর। সবাই হয়ত আপনাকে চিনবে না, কিন্তু বাংলাদেশের আপামর মানুষ স্বীকার করবে একুশে'র সংবাদের কথা, তার সুপরিচিতির কথা। তারা যদি শুনতে পান, যে তার পিছনের মানুষ তাদের ছেড়ে অনেক দূরে চলে গেছেন। তারা শুধু আপশোস করবে না, করবে বিলাপ। সেই বিলাপ হবে মানুষের অন্তেরের অন্তরস্থলে।

শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০১১

প্রথম থিয়েটার অভিজ্ঞতা , মঞ্চ নাটক- খনা

আজ প্রথম সশরীরে মঞ্চে গিয়ে একটি নাটক দেখলাম। প্রথম অভিজ্ঞতা টি এত ভালো হবে আশা করতে পারছিলাম না। সঙ্গে ছিল আমার এক প্রিয় মানুষ, সহকর্মী ও বড় ভাই মুক্তার ভাই। অনেক দিন ধরেই আলোচনা চলছিল, দেখতে যাবো দুজনের সময় এক হচ্ছিল না।আজ এক করে ফেললাম। স্পটে উপস্হিত হয়ে একটু খারাপ ই লাগছিল কারণ আমাদের পছন্দ করবার কোন অবকাশ ছিল না। আজ একটি নাটকই মঞ্চায়িত হবার কথা ছিল; সূতরং ওটা বাদে আর কোন বিকল্প নাি। অবশেষে, গমন ও এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা আহরণ। অভিনয় আমাকে মুগ্ধ করেছে, সাথে সাথে কাহিনী। নিজেকে কেমন যেন মনে হচ্ছিল, বর্তমান আর অতীত কেমন যেন, আমার দর্শক চেয়ার ও মঞ্চের মতই পাশা পাশি অবস্হান করছে। মঞ্চের গঠন শৈলীতে ছিল বিশেষত্ত্ব। আবার যাবো খুব তাড়াতাড়ি। কবে সেটাই শুধু পরিকল্পনার বিষয়

শনিবার, ১৪ মে, ২০১১

অনুরোধ, শিক্ষা, স্বীকৃতি ও শততম পোস্ট

প্রথমেই আমার একমাত্র প্রভুর প্রতি অনুরোধ রইল, তিনি যেন আমাকে তার প্রতি আরো বিশ্বাস ও ভক্তি দেন।
এটি এই বল্গের শততম পোস্ট; ভাবতে ভালো লাগছে এটা ভেবে যে মেঘে মেঘে কম বেলা হল না!!
আর তার থেকে বেশী ভালো লাগছে, আজ একটি অন্তরস্থলের আনন্দ নিয়ে লিখতে বসেছি, হয়ত পুরো অন্তরস্থল জুড়ে আনন্দটি না; কিন্তু অনেকটা জুড়ে।

জীবনের দীর্ঘতম চ্যাট করলাম গতকাল, আজও হয়েছে কিছুটা। সব চ্যাটের মত অহেতুক আর নিস্ফল নয় এটি। এর মাধ্যমে সম্পাদিত হয়েছে ছোট কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যার। কর্মজীবনের এটি আমার একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ প্রাপ্তি। একটি উল্লেখযোগ্য শিক্ষা; পাশাপাশি হতে পারে একটি ছোট্ট স্বীকৃতি।

প্রভুকে ধন্যবাদ, একটি সুন্দর পরিবেশ করে দেবার জন্য কাজটি আমাকে দিয়ে সম্পাদিত করবার জন্য। আমার আধিকারিক আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন তার মূল্যবান সয় থেকে সময় বের করে। আমি মুখে কিছু বলতে পারি না, কিন্তু অন্তরের অন্তরস্থল থেকে তার প্রতি আমার সতেজ শুভকামনা থাকবে সবসময়।
প্রভু, তুমি আমাকে কাজের সুযোগ দিও, পুরস্কার দিবার প্রয়োজন নেই। আমি তো তোমারই অনুগ্রহে বন্দী।

শনিবার, ৭ মে, ২০১১

গুনগত মানদন্ড

কয়েকজন মানুষের মধ্যে গুনগট মান বিচারের জন্য সবার প্রথম প্রয়োজন একটি বেঞ্চমার্ক নির্ধারন করা, যার উপর নির্ভর করে সবাইকে সমদৃষ্টিতে রেখে মান বন্টন করা ও ক্রম করা। মান যেসব প্রশ্নের উপর নির্ভর করে করা হয় সেটি প্রকৃত পক্ষে কতটা উপয়ুক্ত প্রশ্ন সেটির মান যাচাই করা সবার কাজ নয়। আমরা ইচ্ছামত কয়েকটি প্রশ্ন ঠিক করলাম আর তার উপর ভিত্তি করে স্টান্ডার্ড যাচাই করা শুরু করলাম, কাজ টা অতটা সহজ না। সটিক বিচারের জন্য যে প্রশ্নগুলো ঠিক করতে হবে, সে গুলি হবে শত প্রশ্নের মধ্যে থেকে উঠে আসা উপযুক্ত প্রশ্ন।
আমি কোন শ্রেনীতে উর্ত্তীর্ন হয়েছি এটি যেমন একটি গুরুত্ত্বপূর্ন প্রশ্ন হতে পারে, পাশাপাশি আমি কোথা থেকে উর্ত্তীর্ন হয়ে এলাম এটা কম গুরুত্ত্বের প্রশ্ন নয়। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পদ্ধতি ও ফলাফল যাচাইয়ের কাজ এখনও একই রকম হতে পারে নি। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে পাস করতে ছাত্রছাত্রীদের জীবনের দফারফা সেড়ে যায়; আর কেই বা শুডুমাত্র ক্লাসটেস্ট নামক বস্তুর উপর ভর করেই তর পেয়ে যায়। সর্বোপরি য়েটা প্রয়োজন সেটা হল, বিচারকর্তার সততা।
সবই একমাত্র একজনই করে, বাকী সবাই অছিলামাত্র

শুক্রবার, ৬ মে, ২০১১

মান বিচার ও স্বকীয়তা

মানুষের গুনগত মান বিচারের ক্ষেত্রে তুলনামূলক বিচার কতটা কার্যকরী সেটা বারংবার ভেবে তার পর যেকোন সিদ্বান্ত নেয়া উচিত। কিন্তু সব কিছুতো আর ভালো মানুষের মর্জিমত চলেনা। চলে তাদের মর্জিমত যারা ব্যবস্থাটা খুব সুন্দর ও তৈলময় ভাবে করতে পারে।
খাঁটি গরুর দুধ কিংবা প্রকৃত যানীর নারিকেল তেলও, বর্তমান সময়ের বিজ্ঞাপন নির্ভর তিব্বত কিংবা গন্ধরাজ নারিকেল তেলের নিকট পারজিত হবে।
তারপরেও ভালো লাগে, ছোটবেলা থেকে সবসময়ই আমার খুব আগ্রহ স্বকীয়তার প্রতি। ঈশ্বর আমার ইচ্ছাপূরনের বিষয়ে কখনও কমতি রাখেনা। আমি কঠিনভাবে এটা বিশ্বাস করি ও হৃদয়ে ধারণ করি। এবারোও তার বিচ্যুতি ঘটেনি। তিনিই তো সব, তিনি যা দিয়াবেন মানুষরুপী প্রানীরাতো সেটাই দিতে পারবে, বেশী বা কম আর কোনটাই নয়। হয়ত এখানেও ঈশ্বরের কোন অভিস্বন্ধি আছে, যা বুছতে পারবো হয়ত বা আরো কিছু সময় পরে।

বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১১

আকস্মিক খারাপ সময়

অনেকদিন পর লিখছি। হঠাত করে মনটা খারাপ হয়ে গেল। কিছু মানুষের কাছে খল নায়ক হয়ে গেলাম নিজের অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য। আসল ভালো করে না জেনে কখনও কিছু করতে নেই।
আর মাঝমাঝ বিপদে পরবারও দরকার আছে; নাহলে চিনব কি করে-কে কেমন আর কতটা ভালো আমাকে জানে।

বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ, ২০১১

নামযজ্ঞ উপলক্ষে বাড়ী ভ্রমন

গত ২৩ শে ফেব্রুয়ারী বাড়ীতে গিয়েছিলাম। সকাল ১০ টার সময় রওনা দিয়ে পৌছেছিলাম রাত ১১ টার দিকে। এক ফেরীঘাটেই লেগেগেছে ২ ঘন্টার পরিবর্তে ৭ ঘন্টার মতন। হায়রে অবহেলিত দক্ষিনবঙ্গ। বাড়ী থেকে রওনা দিয়ে কোলকাতা পৌছাতেও আমার এত সময় কখনও প্রয়োজন হয়নি। এত সময় লাগে বলেই, মনটা বাড়ীতে পড়ে থাকা স্বত্ত্বেও বাড়ীতে যাওয়া বছরে এক দু'বারের বেশী হয়না। একটি সেতুই পারত বঙ্গমায়ের অংগকে কাছে আনতে পাশাপাশি আমার মতন ঘর ছাড়া মানুষকে একটু ঘরের কাছে পৌছে দিতে। অর্থনৈতিক লাভ আমার চিন্তার বাইরে থাকুক। ২ দিনের নেওয়া ছুটির একদিন চলে গেল বাড়ীতে পৌছাতেই।
বাড়ীতে ১ম বারেরে মতন অনুষ্ঠিত হল ৮ প্রহর ব্যাপী নামযজ্ঞ অনুষ্টানের। অনেক আগে থেকেই চলছিল প্রস্তুতি, আমি যেয়ে দেখলাম প্রস্তুতির শেষের দিকটা।আমার মনের মধ্যে লাগছিল এক অন্যরকমের অনুভূতি যা আগে খুব কম লেগেছে। অনেকদিন না দেখা হওয়া আত্মীয়স্বজনের স্বাক্ষাতি শুধু নয়, এক বারে এত মানুষের সাথে দেখা হওয়ার অনুভূতিটাই অন্যরকম; যদিও আমি কখনই কারোর সাথে সেভাবে কথা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত নি যদি কিনা খুব বেশী প্রয়োজন না পড়ে।
নামযজ্ঞ অনুষ্টানে মোট কীর্তনীয়া সম্প্রদায় ছিল ৪ টি, আমার মামার দলটি সহ। দল গুলোর আয়োজন মামাই করেছিল।
কাজের মধ্যে আমি করেছিলাম, এক বাজরের প্রতিটা দোকানে যেয়ে নিমন্ত্রণ করা; একাকী নয়, তরুনের সাথে।
রাতে কীর্তন হবার পর অধিবাস; আমার ক্লান্ত দেহ খানা বাধ না মেনেই বিছানায় গড়িয়ে পরেছিল। পরদিন সকালে নামের সূচনা, খুব ভোরে। প্রথম দল আসার আগ পর্যন্ত মামার সাথে আমি ও মনতোষ মামা অবস্থান করেছিলাম।
সারাদিন ও রাত নাম চলল। পরেরদিন সকালে সমাপ্তি। তার পর নগর ভ্রমন। অনেক মজা করেছিলাম পাড়ার সব বাড়ী গুলো ঘুরেঘুরে। সাথো ঠাকুর নিয়ে ছিল দাদা আর প্রিয় শ্যামল দা। অবশেষে ঠাকুরকে ভোগ নিবেদনের পর ভোগ বিতরণ ও অনুষ্টানের সমাপ্তি। সাথে সাথে সমাপ্তি আমার ছুটিরও। কিন্তু বাড়ী ছেড়ে আসা দায়; আমারও কখনই ইচ্ছা করে না কখনও বাড়ী থেকে অন্য কোথাও যায়। কী আর করা, ছুটির জন্য আবেদন মোবাইলে। ছুটি পেয়েছিলাম কিন্তু সার্ভিসরুল অনুযায়ী শুক্র শনিবার কেও আমার ছুটির মধ্যে গননার শর্তে। আমার ছুটি হল মোট ৫ দিন; বছরের প্রথমেই ১৫ দিনের ৫ দিন শেষ। সার্ভিস রুল মানতে ভালোই লাগে; কিন্তু সেটা সবসময় মেনে চলা উচিত।(চাচীর ছালুনের জাগায় জাগায় ঝাল!!)
অবশেষে রোববার রাতের গাড়ীতে ঢাকায় ফেরা; অন্যভাবে না, আগের মতন ফেরী ঘাটে ৬ ঘন্টা বিলম্ব করে।

মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

ডিবিবিএল আইটি অফিস পিকনিক-২০১১

২১ শে ফেব্রুয়ারী অফিসের পক্ষ থেকে বনভোজনে গিয়েছিলাম, স্থান-প্রশিকা, মানিকগঞ্জ। দিনটি নিয়ে সবার মতন আমার মনেও বেশ আপত্তি ছিল, যদিও তার বহিঃপ্রকাশ উপযুক্ত স্থানে ছিল না। এই সব অনুষ্ঠান সম্পর্কে আমার ধারণা ছোট বেলা থেকেই খুব খারাপ, তার পরেও অফিসে প্রথম বারের জন্য হওয়ায় হালকা উৎসাহ মনের মধ্যে লালন করেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সময় মতনই সহকর্মী নির্ঝর দা ও তপন দাকে নিয়ে হাজির হলাম নির্ধারিত স্থানে। লটারী নামক একটি যন্ত্রনাময় জিনিস ডিবিবিএল পিকনিকের সাথে আষ্টেপিষ্টে লেগে আছে, আর সেই যন্ত্রনা বন্টনের দায়িত্ত্বটা ছিল আমার ও নির্ঝর দা'র উপর। চেষ্টা করেছিলাম বাসে উঠবার আগ পর্যন্ত কিন্তু তার পরে আর নয় আমার কাছ থেকে।
ওখানে যাবার পর বুঝতে পারলাম, আসলে পিকনিকটা আমাদের জন্য নয়। ডিবিবিএল বর্নবাদে বিশ্বাসী। এখানে দুটি জাত আছে: ১। কোর টিম ২।আনকোরা টিম(!)। আর কোথাও না হলেও আইটি ডিবিশনে এটা খুব প্রচলিত বর্ণ প্রথা। তথা কথিত কোর টিমের কাজ হল সব সময় এটা বুঝিয়ে চলা তারা সবার থেকে আলাদা এলিট সম্প্রদায়ের মানুষ। পিকনিকটাও সেই উচ্চবংশীয় কোর টিমের জন্য। আনকোরা টিমের কাজ হল তাদের বিনোদনের উপকরণ হওয়া। এরা না থাকলে ওটা পিকনিক ভাবের সৃষ্ঠি করে না শুধু মাত্র এজন্যই আমরা। পিকনিকের আরম্ভলগ্নেই কোন এক নেতার মুখ থেকে উচ্চরিত হল সেই যুদ্ধের দামামা।"এখন ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্টিত হবে কোর টিম বনাম অন্যান্যরা"। সারা বছরের সকাল থেকে মধ্যে রাত্রি পরিশ্রমের পর প্রিয একটি ছুটির দিন হারিয়ে জাতীয়তা বিসর্জন দিয়ে আনকোরা সবাই হাজির হয়েছে একটু নির্মল আনন্দ পাবার আশায়, কর্তাব্যাক্তিদের একটু অন্যভাবে পাবার জন্য। আর কোরমার্গীয়রা হাজির হয়েছে, একমাত্র মাঠ টিকে আটকে রেখে তাদের লীলাখেলা দেখানোর আশায়। আসলেই না হলে এটা কোর হবে কেন, যদি মৌলত্ত্বই না থাকল।
বিকালে শুরু হল, আনকোরাদের দর্শক হবার পর্ব। তারপর বাসায় ফেরার লগ্ন।
ভেবেছিলাম, অন্যকিছু হবে। অনেক মজা করব। উপভোগ করব নিজের মত। কিছুটা পেরেছি। কিন্তু সেটুকুও ম্লাণ হয়ে গেল রাজার নিজের রাজ্য নিজে দখল করবার খেলায়। আমার অন্য অভিজ্ঞতার থেকে আলাদা কিছু নয়।
কেউ আমার ব্লগ পড়ে না, আমি সেটা আশাও করিনা। আমাকে যারা ব্যক্তিগত ভাবে চেনে তারা সকলেই জানে আমি একটি সমস্যাপূর্ণ মানুষ, যেখানেই যাই সবখানেই সমস্যা। অন্য কারোর কাছে এই পিকনিকের অভিজ্ঞতাটিই হয়ত অনেক আনন্দের স্মৃতি বহুল। দ্বিমত পোষনকারী যারা, তাদের ভালোলাগার জন্য একটি ছোট্ট গল্প দিয়ে শেষ করবঃ
এক রোগীর সারা শরীরে খুব যন্ত্রনা। কোন উপায়ন্তর না পেয়ে সে ডাক্তারের শরণাপন্ন হল। ডাক্তার সাহেব তার সারা শরীরে পরীক্ষা করে দেখল তার কোথাও কোন ব্যাথা নাই। রোগীকে বলা মাত্র সে তো আকাশ থেকে বলল, কী বলেন ডাক্তার সাহেব। এই দেখুন আমি যেখানেই আঙুল রাখছি সেখানেই ব্যাথা পাচ্ছি, আর আপনি কিনা কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। তখন ডাক্তার দেখল, রোগী যে আঙুল দিয়ে তার শরীর টিপে দেখছে তার সেই আঙুলটাতেই ব্যাথা।

আমার সমস্যাটা হয়ত আমার আঙুলটাতেই।

মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

সেই ভালো লাগা

তখন কর্নফুলী কাগজের রমরমা অবস্থা। আমি ছোটবেলা থেকেই কাগজ কলমের বিষয়ে খুবই সচেষ্ট ছিলাম। আমার বাবু সবসময়ই আমার সেই সচেষ্টতাকে সর্ম্মান জানিয়েছেন। তাই প্রথম থেকেই আমার লেখার খাতা গুলি কর্নফুলী কাগজ দিয়েই তৈরী করে দিতেন তিনি। বই, খাতা ও নিজের কলমের প্রতি ভালবাসা প্রথম থেকেই আমার খুব বেশী। খাতার কাগজ ছেড়া কিংবা অপরিস্কার করা আমি কখনই বরদাস্ত করতাম না। আমার এই মানসিকতাটি এখনও একটু মৃদু হলেও রয়ে গেছে।

তৃতীয় শ্রেনীতে সবে উঠেছি, প্রথমও হয়েছি। মানসিক ভাবে নিজেকে সবসময় খুব অন্যরকম মনে হত; যদিও নিজের কদসুরত দেখে প্রায়ই নিজেই মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পরতাম। কিন্তু সব কিছুকে উপেক্ষা করে আমার বেঞ্চের বিপরীতে ঠিক আমার সামনে বসা ছোট্ট মেয়েটিকে আমার খুব ভালো লাগত। ওর নামটি ছিল শশী। খুব বেশী কথা কখনই হয়নি।কিন্তু ওর সুন্দর মুখশ্রীর চোখে আমি সবসময়ই হারিয়ে যেতাম। আর তাই হারিকেনের আলোয় বসে অনেক গোপনীয়তা রক্ষা করে নিজের নতুন ক্লাসে উঠে তৈরী করা নতুন খাতার পৃষ্টা ছিড়ে আমি লিখেছিলাম কয়েকটি লাইন। একবার না; কয়েকবার। অবশেষে চূড়ান্ত একটি। মনে পড়ে খুব সুন্দর নিখুঁত ভাঁজ করে রেখেছিলাম আমার বইয়েরই কোন পৃষ্ঠাতে। ওকে দিব দিব করে সাহস সঞ্চয় করতে করতে একদিন শুনতে পেলাম ও স্কুল ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে ওর বাবার স্টেশন মাস্টারের চাকুরীর সুবাদে। আমার মনটা ভেঙ্গে গিয়েছিল। আমার এই ভালো লাগাটাও আকস্মিক ধাক্কা খেয়েছিল সেদিন; হয়ত ভালোই হয়েছিল, নতুবা খুব অল্প বয়সেই ইভটিজিং এর দায়ে আমাকেও কোন শাস্তি পেতে হত!!! ওর ধর্মছিল মুসলিম। সেদিন আমার ধর্মজ্ঞান ছিল না। ছিল শুধু ভালো লাগা। ওর মুখটা এখনও আমার সামনে একটা প্যাটার্নের মত দেখা দেয়। মনে হয় যদি কখনও ওকে দেখতে পেতাম, তবে বলতাম সেই গোপন ভাললাগার কথা; হয়ত কোন এক অংকুরের বিনাশের কথা।
অনেকেই আমার হাতের লেখার প্রশংসা করে থাকে; তাদের আমি মজা করে বলি-যদি ক্লাস থ্রি তে কেউ চিঠি লেখা শুরু করে তবে তারও সুন্দর হাতের লেখা হবার একটা সম্ভাবনা আছে!!!

মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

সরস্বতী পূজা ও আমি

সরস্বতী পূজা প্রতি বছরই একটি নতুন মাত্রা নিয়ে আসে সেই ছোট বেলা থেকেই। আমি আজও কেমন যেন মনে করতে পারি সেই দিনটাকে যেদিন দেবী মায়ের সামনে পুরোহিত মশাই আমার হাতখড়ি দিয়েছিল। খুব মজা লাগত যখন প্রতিবছরই নতুন বই দেবী মায়ের সামনে রেখে নতুন বছরের পড়াশোনার প্রস্তুতি নেওয়া হত; ঠিক করা হত নতুন কোন লক্ষ্যমাত্রা।পূজার দিনটি চলত না কোন রকমের পড়াশোনা।খাবার দাবারের রকমটিও ছিল ভিন্ন স্বাদের। পূজার আগের দিন মা তৈরী করে বিভিন্ন রকমের মোয়া,দই, খই। সবই পূজার জন্য, পরোক্ষভাবে আমার জন্য। পূজার দিনটি আমাদের বাড়ীতে খুব ভিড় হয়। আমার মায়ের অনেক ছাত্রছাত্রী, তাদের পরিবার, পাড়ার ছেলেমেয়েরা আসে আমাদের বাড়ীতে।
যখন মাধ্যমিকস্তরের ছাত্র তখন পূজার পরই চলে যেতাম স্কুলের পূজাতে। সেখানের মজাটা ভিন্ন স্বাধের যেখানে পূজার থেকেও বড় হয়ে ওঠত অন্য কোন কিছু। সরস্বতী পূজাকে কেন্দ্র করে জীবনে একটি স্বাদ আমার অপূর্ণ আছে। সবসময়ই স্কুলের পূজা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ত্বে থাকত দশম শ্রেনীর ছাত্ররা। ষষ্ঠ শ্রেনী থেকেই সব সময় ভাবতাম কবে আমিও পূজার চাঁদা আনবার জন্য ক্লাস টাইমে প্রত্যেক শ্রেনী কক্ষে যাব, রাত জেগে পূজা আয়োজন করব, মানুষের বাড়ীতে যেয়ে কাঠ, ফুল যোগাড় করব। স্বাদটা অপূর্ণই রয়ে গেছে আমার। এখন খুব মনে পড়ে বার বার এটি।

পূজার আগের দিন রাতে ফুল যোগাড় করার একটি লক্ষ্য থাকতো সবার। কে কত ফুল আগামীকাল মায়ের পায়ের কাছে জড় করতে পারে; আমার অংশগ্রহন তেমন কখনই হয়নি। আমার দাদা ছিল ফুল জোগাড় করবার গুরু। আর আমি পাহারা দিতাম নিজেদের বাড়ীর ফুল গুলা যৈন কেউ না নিতে পারে। তবে একবার পলাশ ফুল যোগাড় করবার জন্য সাইকে নিয়ে বেড়িয়েছিলাম। এডভেঞ্চারই মনে হচ্ছিল, কারণ ফুল খুবই কম পাওয়া যায়।

যখন পড়াশোনার জন্য কোলকাতা ছিলাম, তখন একটি বিষয় আমার চোখে পড়ে। ওখানকরা ছেলেমেয়েদের মধ্যে ভ্যলেনটাইন ডের দেশীয় সংস্করণই হল এই পূজা। কারণ এই দিনে প্রতিদিনের দৃশ্যমান সহপাঠিনীটিও শাড়ী পরে নারী রূপে প্রথম মনে দোলা দিয়ে যায়, আসলেই মনে ফড়ফুরে মৃদু বাতাস লাগবার মতনই বিষয়। আর আমারও মনে পড়ে সেই সময়টিতে কেন আমার মনে পূজা আয়োজন করতে না পারার দুঃখটা এখনও বিধে আছে। কারণ পূজা আয়োজন করা ব্যাতীত বাস্তবের মনদেবীকে খুব কাছে পাবার সুযোগ বছরে খুব কমই কিন্তু আসে।

এখনও পূজার দিনটি আমার মন ঘুরে বেড়ায় আমার বাড়ীতে আমার পরিবারের সাথে; খুব মন খারাপ হয় এটা ভেবে কেন বড় হয়েছিলাম। এটাও সব সময় মনে হয় যদি পড়াশোনা শিখে বাবা মাকে দাদাকে ছেড়ে দূরে কোথাও থাকতে হবে এটা জানা থাকলে এই পড়াশোনা আমি কখনই শিখতাম না।

রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

গিয়েছিলাম BASIS SoftExpo ২০১১

প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল তথ্যপ্রযুক্তি বিজ্ঞানের টুকটাক খোঁজখবরাখবর রাখার অংশ হিসাবে গত ৫ই ফেব্রুয়ারী Basis SOFTEXPO 2011 থেকে ঘুরে এলাম; সাথে ছিল সহকর্মীরা। মেলাতে অনেক ত্বাত্ত্বিক ও কারিগরী সেশন অনুষ্টিত হয়েছে। আমার উদ্দেশ্য ছিল Application Development in Android Platform ও Agile Project Management - Scrum or Kanban Development Methodology উপর অনুষ্টিত সেশন দুটিতে অংশগ্রহন করা। প্রথমটির অভিজ্ঞতা অতটা সুখকর নয় যতটা আশা করেছিলাম আর ২য় টির অভিজ্ঞতা ঠিক ততটাই বেশী ভালো যতটা কম আশা করেছিলাম। প্রথমটিতে সাধ পেলাম নতুন প্রযুক্তির অংকুরোদগমনের; সাথে সাথে মানুষের ধৈর্য্য ও অভিব্যক্তির ক্রমাগত অবনমনের উদাহরণের।
আমার ধারনাটা যেরকম ছিল সেরকমেরই কাছাকাছি। BASIS কর্তৃক ইমেইলে পাঠানো সিডিউল দেখেই স্পীকারদের মান সম্পর্কে আমার এর থেকে বেশী ভালো ধারনা হয়েছিল না। কারণ প্রতিষ্টান আর ব্যক্তি যেখানে যেটার ভর বেশী সিডিউলে সেই নামগুলোই ব্যবহার করেছিল। তারই অংশহিসাবে গরহাজির দিতে আসা স্পীকার Application Development in Android Platform সেশনের দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের এক টিকিটে পাঁচটি সিনেমা(! ভিডিও ক্লিপিং) দেখিয়ে অনেকটা হতাশই করেছে।
কিন্তু আমি সার্থক হতে পেরেছি Agile Project Management - Scrum or Kanban এর উপর অনুষ্ঠিত সেশনটির একজন উপভোগকারী হতে পেরে। দুজন স্পীকারই আমাকে মুগ্ধ করেছে আমাদের পুথিঁগত বিদ্যাকে আকর্ষনীয় ভাবে উপস্থাপন করে। বিশেষ করে, NHM Tanveer Hossain Khan এর অংশটুকু আমাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল; তার সাথে সাথে আমার মনে একটি প্রশ্নেরও অবতরণা করেছিল- বিশ্ববিদ্যালয় গুলো কেনই বা নিদেন পক্ষে Software Engineering বিষয়টিকে ব্যবহারিক জ্ঞানধারী ব্যাক্তিকে দিয়ে না পড়িয়ে পুথিগত শিক্ষায় বিশ্বাসী শিক্ষকদের দিয়ে পড়িয়ে থাকে। আমি কখনই মনে করিনা যে তারা আমাদের কোন কিছুতে কমতি রাখে, তারপরও মনে হয় এই সেক্টরে কাজ করে এমন কাউকে দিয়ে পড়ালেই প্রথাগত শিক্ষাজীবনান্তে কর্মজীবনে সেটি বেশী ফলদায়ক হয়,

প্রতিটি কর্মকান্ড সমাপন্তে আমার সবসময়ই মনে হয়, কেন কাজটি আরো ভালো করে করলাম না। আসলে প্রতিটি সেশন ই হয়তবা খুবই শিক্ষানীয় ছিল; সেশনগুলো একদিনের কিছু সময়ের মধ্যে সব ধারনা হয়ত দিতে পারে না, কিন্তু মনের মাঝে বীজ বপন করে দেয় নতুন কোন ভালো কিছু করবার প্রেরণা। এই সব অনুষ্ঠান গুলোতে তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত সকল প্রতিষ্ঠানেরই অংগ্রহন নিশ্চিত করা প্রয়োজন, আর প্রতিষ্ঠান প্রধান গনের উচিত এই সকল অনুষ্ঠানে অধস্তন কর্মীদের অংশগ্রহন বাধ্যতামূলক করা।

শুক্রবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১১

ফ্যান্টাসী কিংডম-Fantasy Kingdom

ফ্যান্টাসী কিংডম, ঢাকার কাছাকাছি ঘুরে আসার জন্য একটি ভালো স্থান। তবে সবখানেরই মতন এখানে যাবার আগে অনেক কিছউ জেনেশুনে যাওয়াটা খুবই দরকার; তাহলে আপনার ভ্রমনটি আরো বেশী আনন্দের হতে পারবে। আমিও খুঁজে ছিলাম, কিন্তু উপকারী কিছু পাইনি; এজন্যই পরবর্তী ভ্রমনকারীদের জন্য আমার এই (অপ)প্রয়াস,কারোর উপকারে আসলে ভালো লাগবে।
প্রথম বিষয়: যাতায়াত: ঢাকা শহরে ব্যক্তিগত গাড়ীর সংখ্যা খুব একটি কম না; তো যাদের গাড়ী আছে তাদের উচিত হবে সেটিকে সাথে নিয়ে যাওয়া; তাহলে কিছু মানুষ বাসে করে শান্তিতে যাইতে পারবে। বাস বলতে ঢাকার কেন্দ্রস্থল ফার্মগেটের তেঁজগা কলেজের সামনে থেকে সরাসরি একমাত্র একটি গাড়ী "হানিফ পরিবহন"; দূরগামী যাত্রায় নিরাপদ বন্ধু হলেও সাভারের আশুলিয়ায় পৌছে দেবার জন্য এটি আপনার শত্রুতেও পরিনত হতে পারে। শান্তিতে যাবার জন্য ছুটির দিনটিতে একটু কষ্ট করে সকালে বের হলে ভালো হয়; যদিও চাকুরীজীবিদের জন্য এর থেকে দুর্দশার আর কিছু হতে পারে না। রাস্তায় প্রতিদিনকার বন্ধু যানজট আপনাকে কিছু সময় পর পর সঙ্গদেবে, এ বিষয়ে চিন্তার কিছু নেই। পৌছাবতে সময় লাগবে দুই ঘন্টার মতন।

পৌছানোর পর চিন্তা করতে হবে আপনার সর্বসঙ্গী উদর কি বলে। আপনি যদি মানিব্যাগে টাকা গুনে গুনে নেন সেক্ষেত্রে ভালো হবে ঢুকবার আগে নিকটবর্তী কোন রেস্টুরেন্ট থেকে ভালো করে সেবা করে নেওয়া; আর অগনিত হলে সমস্যা নেই অর্থ প্রবাহের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করা। প্লিজ সঙ্গে করে এটিএম কিংবা ভিসা বা মাস্টারকার্ড নিয়ে স্মাট হবার চেষ্টা করবেন না; তাতে আপনি বিফল ও হতে পারেন।

ফ্যান্টাসী কিংডম এর পাশেই ওয়াটার কিংডম ও হেরিটেজ পার্ক। সব জাগাতেই আলাদা আলাদা টিকিট করে ঢুকতে হবে। ফ্যান্টাসী কিংডমের রাইড সংখ্যা ১১ কি ১২ টার মতন। আলাদা আলাদা ভাবে ফ্যান্টাসী কিংডমে খরচ পরবে ৭০০ টাকার মতন, আপনি প্যাকেজ নিতে পারেন ৫০০টাকার; তাহলে ফ্যান্টাসী কিংডম ও ওয়াটার কিংডম প্রবেশ সহ ফ্যান্টাসী কিংডমের ৯টি রাইড আপনার জন্য অপেক্ষা করবে। তবে প্রথম বার গেলে সেটা না করাই ভালো। কারণ আপনার জানা নেই কোনটির বিনোদন কিরকম হবে। অনেক রাইড আছে যেগুলো অধিকভীতি সম্পন্ন, অপ্রকৃতিস্থ, গর্ভবতী ও হৃদরোগীদের জন্য বড়ই বিপদজনক বলে তারা দাবী করে। সূতরং সেখানে প্রবেশের পর আপনি য়াচাই বাছাই করে তারপর পছন্দ করে নিবেন কোনটি আপন সহ্য করতে পারবেন।

আমার পরামর্শ,ফ্যান্টাসীতে যাবার আগে অবশ্যই হেরিটেজ পার্কে যেয়ে সেখানকার হালকা উত্তেজনাকর রাইড গুলো চড়ে নেওয়া, সেটাই সম্ভবত আপনাকে বেশী সুখ দিবে বলে আমার ধারণা; হেরিটেজ পার্কের সব রাইড গুলোর প্যাকেজ একত্রে ৮০ টাকা। আপনি আলাদা ভাবে চড়তে পারেন, কিন্তু তার জন্য আপনাকে অনেক বেশী টাকা গুনতে হবে। তবে আর কিছুতে না চড়লেও বোট টা কোন অবস্থাতেই বাদ রাখবেন না। বিকালের পড়ন্তবেলাতে বোটের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা আপনাকে অনেক বেশী আনন্দ দেবে।

ফ্যান্টাসীতে প্রায়ই কনসার্ট হয়; ভাগ্যভালো হলে রথ দেখার সাথে সাথে কলা বেচাটাও সম্পন্ন হতে পারে। কিংডম গুলোর পসরা আপনার জন্য থাকবে রাত ১০টা পর্যন্ত। অতঃ রাত থাকতে গেলে আপনার ফিরে আসার চিন্তা বাদ দিয়ে রাখাই ভালো।
একা কোথাও না যাওয়াটাই শ্রেয়। তাই সঙ্গের প্রিয় জনকে রাখুন, যে কোন সিদ্বান্তে ত্বরিৎ তার মতটি জেনে নিন।


Click to see in Wikimapia

শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০১১

বর্ষন্ত ও বর্ষরম্ভ

১লা জানুয়ারীর গুরুত্ত্ব একটু অন্যরকম ছিল ছোটবেলাতে। সাধারণত এই দিনটিতে শুরু হত নতুন ক্লাসের প্রথম পড়াশোনা। তখন খুব মনে হত কবে আমরা ২০০০ সাল দেখব আর কবেই বা দেখব ২০১০ সাল এমনি দুেরে দুরের সাল গুলো। এখন আর সেরকম আশাটি খুব বেশী একটা করি না। ইংরেজী নতুন বর্ষ আমার কাছে তেমন কোন প্রভাব ফেলত না। তবে বছরের শুরুতে অনেক অনেক চিন্তাভাবনা নিয়ে শুরু করতাম, কিন্তু বছেরে শেষে এসে তার খুব কমই মিলিয়ে দেখা হত।
বর্তমানে বছরের শেষ দিন থেকে শুরু করে বছরের প্রথম দিন পর্যন্ত খুবই উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায় তরুন তরুনীর মধ্যে। কিন্তু তার পর শূন্যতা। কত রকমের শুভকাঙ্খা থাকতে পারে তারই যেন প্রতিযোগীতা; মোবাইলের এসএমএস বহর, ফেসবুক নামক সমাজে পোস্টের পর পোস্ট আর তার সাথে রকমারী কমেন্টস। তারপর বছর শেষ। বছরের বাকী ৩৬৩ দিন আর কোন খবর রাখিনা আমরা; খবর রাখিনা একবারের জন্য আসা বছরটিকে আমরা কতটা ভালো রেখেছি। সরকার আর বিরোধী দল নামে প্রতিটি দিনকে স্মরনীয় করে রাখবার মেকী প্রতিযোগীতায়, আর তথা কথিত যুবারা নামে যুবতীকে কটাক্ষ করার ভুমিকায়। বছর প্রতিবছরই নিরাশ হয় আমাদের কাছে। আর কতদিন নিরাশ রাখব আর। আমরা কেন শুধু ওর কাছ থেকে ভালো ভালো চাইব কিন্তু নিজেরা ভালো কিছু করব না।