বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১১

মীরাক্কেলের এক প্রতিযোগী সুব্রত রায় ও কিছু উপলব্ধি

মীরক্কেল আমার জীবনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে; কোন কিছু রুটিন মেনে না করলেও মীরক্কেলের দর্শন আমি যতাসম্ভব ঠিকঠাক মত করবার চেষ্টা করে থাকি। অনেক কিছু শিখি, মজার মজার জোকস গুলো সেভাবে মনে রাখতে না পরলেও তার ম্ধ্যমে বের হয়ে আসা জীবন নিগড়ানো অভিজ্ঞতাগুলো আমি সহজে ভুলতে পারি না। অনেক কিছু মনে করিয়ে দেয় আমার নিজে‌র জীবনের অনেক গল্পকে। মীরক্কেল একে একে এগিয়ে এখন ৬ এসে চলছে। অনেক প্রতিযোগীই এসেছিল এখন কমতে কমতে এসে অল্পে ঠেকেছে। তার মধ্য একজন সুব্রত রায়। প্রথমদিকে ছেলেটি অনেক অবহেলিত হয়েছে,হয়েছে অনেক ভুল বিচারের শিকার। তারপরেও ছাই এর মধ্যে লুকানো আগুন ঠিকই পিটপিট করতে করতে এখন জ্বলজ্বল করে জ্বলতে শুরু করেছে।
দুর্ভাগ্যবশত একবার বাদ পড়েছিল; কেন সেটা হয়ত তারাই জানে। কিন্তু তার যে আসল ক্ষমতা, সরলতা, তার জোরেই সে আবার এসেছে। আজ তাকে নিয়ে ব্লগ লেখার কোন উদ্দেশ্যই আমার ছিল না। আমি লিখছি তার অলৌকিক উৎসর্গ করার ক্ষমতা দেখে, তার প্রতিটি পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে আমার বার বার মনে হয় নিজের কাজ টাকে কতটা ভালোবাসতে হয়, ভালোবাসতে হয় পাগলের মত। ষফলতা সেখানে আসবেই। সেই ই সর্বোত্তম, অনুষ্টান থেকে যতই ছিটকে যাক না কেন। সে মানুষ হাসাই বস্তাপচা একঘেয়ে কৌতুকের প্যানপ্যানানী, চেহারার জৌলুস আর সমবেদনা নিয়ে না; সে হাসাই নিজের মন থেকে উঠে আসা শত অবিচার, বেদনা ও সরলতার মধ্য দিয়ে। সবাই কে দেখলে আমার খুব হিংসা হয় তোমাকে দেখলে আমার খুব সাহস লাগে, আমার মন আমাকে বলে "তুমি ভালোবেসে চালিয়ে যাও, মনে কর এখন থেকে তুমি সব পারবে"।

কোন মন্তব্য নেই: