প্রথমেই আমার একমাত্র প্রভুর প্রতি অনুরোধ রইল, তিনি যেন আমাকে তার প্রতি আরো বিশ্বাস ও ভক্তি দেন।
এটি এই বল্গের শততম পোস্ট; ভাবতে ভালো লাগছে এটা ভেবে যে মেঘে মেঘে কম বেলা হল না!!
আর তার থেকে বেশী ভালো লাগছে, আজ একটি অন্তরস্থলের আনন্দ নিয়ে লিখতে বসেছি, হয়ত পুরো অন্তরস্থল জুড়ে আনন্দটি না; কিন্তু অনেকটা জুড়ে।
জীবনের দীর্ঘতম চ্যাট করলাম গতকাল, আজও হয়েছে কিছুটা। সব চ্যাটের মত অহেতুক আর নিস্ফল নয় এটি। এর মাধ্যমে সম্পাদিত হয়েছে ছোট কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যার। কর্মজীবনের এটি আমার একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ প্রাপ্তি। একটি উল্লেখযোগ্য শিক্ষা; পাশাপাশি হতে পারে একটি ছোট্ট স্বীকৃতি।
প্রভুকে ধন্যবাদ, একটি সুন্দর পরিবেশ করে দেবার জন্য কাজটি আমাকে দিয়ে সম্পাদিত করবার জন্য। আমার আধিকারিক আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন তার মূল্যবান সয় থেকে সময় বের করে। আমি মুখে কিছু বলতে পারি না, কিন্তু অন্তরের অন্তরস্থল থেকে তার প্রতি আমার সতেজ শুভকামনা থাকবে সবসময়।
প্রভু, তুমি আমাকে কাজের সুযোগ দিও, পুরস্কার দিবার প্রয়োজন নেই। আমি তো তোমারই অনুগ্রহে বন্দী।
শনিবার, ১৪ মে, ২০১১
শনিবার, ৭ মে, ২০১১
গুনগত মানদন্ড
কয়েকজন মানুষের মধ্যে গুনগট মান বিচারের জন্য সবার প্রথম প্রয়োজন একটি বেঞ্চমার্ক নির্ধারন করা, যার উপর নির্ভর করে সবাইকে সমদৃষ্টিতে রেখে মান বন্টন করা ও ক্রম করা। মান যেসব প্রশ্নের উপর নির্ভর করে করা হয় সেটি প্রকৃত পক্ষে কতটা উপয়ুক্ত প্রশ্ন সেটির মান যাচাই করা সবার কাজ নয়। আমরা ইচ্ছামত কয়েকটি প্রশ্ন ঠিক করলাম আর তার উপর ভিত্তি করে স্টান্ডার্ড যাচাই করা শুরু করলাম, কাজ টা অতটা সহজ না। সটিক বিচারের জন্য যে প্রশ্নগুলো ঠিক করতে হবে, সে গুলি হবে শত প্রশ্নের মধ্যে থেকে উঠে আসা উপযুক্ত প্রশ্ন।
আমি কোন শ্রেনীতে উর্ত্তীর্ন হয়েছি এটি যেমন একটি গুরুত্ত্বপূর্ন প্রশ্ন হতে পারে, পাশাপাশি আমি কোথা থেকে উর্ত্তীর্ন হয়ে এলাম এটা কম গুরুত্ত্বের প্রশ্ন নয়। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পদ্ধতি ও ফলাফল যাচাইয়ের কাজ এখনও একই রকম হতে পারে নি। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে পাস করতে ছাত্রছাত্রীদের জীবনের দফারফা সেড়ে যায়; আর কেই বা শুডুমাত্র ক্লাসটেস্ট নামক বস্তুর উপর ভর করেই তর পেয়ে যায়। সর্বোপরি য়েটা প্রয়োজন সেটা হল, বিচারকর্তার সততা।
সবই একমাত্র একজনই করে, বাকী সবাই অছিলামাত্র
আমি কোন শ্রেনীতে উর্ত্তীর্ন হয়েছি এটি যেমন একটি গুরুত্ত্বপূর্ন প্রশ্ন হতে পারে, পাশাপাশি আমি কোথা থেকে উর্ত্তীর্ন হয়ে এলাম এটা কম গুরুত্ত্বের প্রশ্ন নয়। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পদ্ধতি ও ফলাফল যাচাইয়ের কাজ এখনও একই রকম হতে পারে নি। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে পাস করতে ছাত্রছাত্রীদের জীবনের দফারফা সেড়ে যায়; আর কেই বা শুডুমাত্র ক্লাসটেস্ট নামক বস্তুর উপর ভর করেই তর পেয়ে যায়। সর্বোপরি য়েটা প্রয়োজন সেটা হল, বিচারকর্তার সততা।
সবই একমাত্র একজনই করে, বাকী সবাই অছিলামাত্র
শুক্রবার, ৬ মে, ২০১১
মান বিচার ও স্বকীয়তা
মানুষের গুনগত মান বিচারের ক্ষেত্রে তুলনামূলক বিচার কতটা কার্যকরী সেটা বারংবার ভেবে তার পর যেকোন সিদ্বান্ত নেয়া উচিত। কিন্তু সব কিছুতো আর ভালো মানুষের মর্জিমত চলেনা। চলে তাদের মর্জিমত যারা ব্যবস্থাটা খুব সুন্দর ও তৈলময় ভাবে করতে পারে।
খাঁটি গরুর দুধ কিংবা প্রকৃত যানীর নারিকেল তেলও, বর্তমান সময়ের বিজ্ঞাপন নির্ভর তিব্বত কিংবা গন্ধরাজ নারিকেল তেলের নিকট পারজিত হবে।
তারপরেও ভালো লাগে, ছোটবেলা থেকে সবসময়ই আমার খুব আগ্রহ স্বকীয়তার প্রতি। ঈশ্বর আমার ইচ্ছাপূরনের বিষয়ে কখনও কমতি রাখেনা। আমি কঠিনভাবে এটা বিশ্বাস করি ও হৃদয়ে ধারণ করি। এবারোও তার বিচ্যুতি ঘটেনি। তিনিই তো সব, তিনি যা দিয়াবেন মানুষরুপী প্রানীরাতো সেটাই দিতে পারবে, বেশী বা কম আর কোনটাই নয়। হয়ত এখানেও ঈশ্বরের কোন অভিস্বন্ধি আছে, যা বুছতে পারবো হয়ত বা আরো কিছু সময় পরে।
খাঁটি গরুর দুধ কিংবা প্রকৃত যানীর নারিকেল তেলও, বর্তমান সময়ের বিজ্ঞাপন নির্ভর তিব্বত কিংবা গন্ধরাজ নারিকেল তেলের নিকট পারজিত হবে।
তারপরেও ভালো লাগে, ছোটবেলা থেকে সবসময়ই আমার খুব আগ্রহ স্বকীয়তার প্রতি। ঈশ্বর আমার ইচ্ছাপূরনের বিষয়ে কখনও কমতি রাখেনা। আমি কঠিনভাবে এটা বিশ্বাস করি ও হৃদয়ে ধারণ করি। এবারোও তার বিচ্যুতি ঘটেনি। তিনিই তো সব, তিনি যা দিয়াবেন মানুষরুপী প্রানীরাতো সেটাই দিতে পারবে, বেশী বা কম আর কোনটাই নয়। হয়ত এখানেও ঈশ্বরের কোন অভিস্বন্ধি আছে, যা বুছতে পারবো হয়ত বা আরো কিছু সময় পরে।
বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১১
আকস্মিক খারাপ সময়
অনেকদিন পর লিখছি। হঠাত করে মনটা খারাপ হয়ে গেল। কিছু মানুষের কাছে খল নায়ক হয়ে গেলাম নিজের অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য। আসল ভালো করে না জেনে কখনও কিছু করতে নেই।
আর মাঝমাঝ বিপদে পরবারও দরকার আছে; নাহলে চিনব কি করে-কে কেমন আর কতটা ভালো আমাকে জানে।
আর মাঝমাঝ বিপদে পরবারও দরকার আছে; নাহলে চিনব কি করে-কে কেমন আর কতটা ভালো আমাকে জানে।
বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ, ২০১১
নামযজ্ঞ উপলক্ষে বাড়ী ভ্রমন
গত ২৩ শে ফেব্রুয়ারী বাড়ীতে গিয়েছিলাম। সকাল ১০ টার সময় রওনা দিয়ে পৌছেছিলাম রাত ১১ টার দিকে। এক ফেরীঘাটেই লেগেগেছে ২ ঘন্টার পরিবর্তে ৭ ঘন্টার মতন। হায়রে অবহেলিত দক্ষিনবঙ্গ। বাড়ী থেকে রওনা দিয়ে কোলকাতা পৌছাতেও আমার এত সময় কখনও প্রয়োজন হয়নি। এত সময় লাগে বলেই, মনটা বাড়ীতে পড়ে থাকা স্বত্ত্বেও বাড়ীতে যাওয়া বছরে এক দু'বারের বেশী হয়না। একটি সেতুই পারত বঙ্গমায়ের অংগকে কাছে আনতে পাশাপাশি আমার মতন ঘর ছাড়া মানুষকে একটু ঘরের কাছে পৌছে দিতে। অর্থনৈতিক লাভ আমার চিন্তার বাইরে থাকুক। ২ দিনের নেওয়া ছুটির একদিন চলে গেল বাড়ীতে পৌছাতেই।
বাড়ীতে ১ম বারেরে মতন অনুষ্ঠিত হল ৮ প্রহর ব্যাপী নামযজ্ঞ অনুষ্টানের। অনেক আগে থেকেই চলছিল প্রস্তুতি, আমি যেয়ে দেখলাম প্রস্তুতির শেষের দিকটা।আমার মনের মধ্যে লাগছিল এক অন্যরকমের অনুভূতি যা আগে খুব কম লেগেছে। অনেকদিন না দেখা হওয়া আত্মীয়স্বজনের স্বাক্ষাতি শুধু নয়, এক বারে এত মানুষের সাথে দেখা হওয়ার অনুভূতিটাই অন্যরকম; যদিও আমি কখনই কারোর সাথে সেভাবে কথা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত নি যদি কিনা খুব বেশী প্রয়োজন না পড়ে।
নামযজ্ঞ অনুষ্টানে মোট কীর্তনীয়া সম্প্রদায় ছিল ৪ টি, আমার মামার দলটি সহ। দল গুলোর আয়োজন মামাই করেছিল।
কাজের মধ্যে আমি করেছিলাম, এক বাজরের প্রতিটা দোকানে যেয়ে নিমন্ত্রণ করা; একাকী নয়, তরুনের সাথে।
রাতে কীর্তন হবার পর অধিবাস; আমার ক্লান্ত দেহ খানা বাধ না মেনেই বিছানায় গড়িয়ে পরেছিল। পরদিন সকালে নামের সূচনা, খুব ভোরে। প্রথম দল আসার আগ পর্যন্ত মামার সাথে আমি ও মনতোষ মামা অবস্থান করেছিলাম।
সারাদিন ও রাত নাম চলল। পরেরদিন সকালে সমাপ্তি। তার পর নগর ভ্রমন। অনেক মজা করেছিলাম পাড়ার সব বাড়ী গুলো ঘুরেঘুরে। সাথো ঠাকুর নিয়ে ছিল দাদা আর প্রিয় শ্যামল দা। অবশেষে ঠাকুরকে ভোগ নিবেদনের পর ভোগ বিতরণ ও অনুষ্টানের সমাপ্তি। সাথে সাথে সমাপ্তি আমার ছুটিরও। কিন্তু বাড়ী ছেড়ে আসা দায়; আমারও কখনই ইচ্ছা করে না কখনও বাড়ী থেকে অন্য কোথাও যায়। কী আর করা, ছুটির জন্য আবেদন মোবাইলে। ছুটি পেয়েছিলাম কিন্তু সার্ভিসরুল অনুযায়ী শুক্র শনিবার কেও আমার ছুটির মধ্যে গননার শর্তে। আমার ছুটি হল মোট ৫ দিন; বছরের প্রথমেই ১৫ দিনের ৫ দিন শেষ। সার্ভিস রুল মানতে ভালোই লাগে; কিন্তু সেটা সবসময় মেনে চলা উচিত।(চাচীর ছালুনের জাগায় জাগায় ঝাল!!)
অবশেষে রোববার রাতের গাড়ীতে ঢাকায় ফেরা; অন্যভাবে না, আগের মতন ফেরী ঘাটে ৬ ঘন্টা বিলম্ব করে।
বাড়ীতে ১ম বারেরে মতন অনুষ্ঠিত হল ৮ প্রহর ব্যাপী নামযজ্ঞ অনুষ্টানের। অনেক আগে থেকেই চলছিল প্রস্তুতি, আমি যেয়ে দেখলাম প্রস্তুতির শেষের দিকটা।আমার মনের মধ্যে লাগছিল এক অন্যরকমের অনুভূতি যা আগে খুব কম লেগেছে। অনেকদিন না দেখা হওয়া আত্মীয়স্বজনের স্বাক্ষাতি শুধু নয়, এক বারে এত মানুষের সাথে দেখা হওয়ার অনুভূতিটাই অন্যরকম; যদিও আমি কখনই কারোর সাথে সেভাবে কথা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত নি যদি কিনা খুব বেশী প্রয়োজন না পড়ে।
নামযজ্ঞ অনুষ্টানে মোট কীর্তনীয়া সম্প্রদায় ছিল ৪ টি, আমার মামার দলটি সহ। দল গুলোর আয়োজন মামাই করেছিল।
কাজের মধ্যে আমি করেছিলাম, এক বাজরের প্রতিটা দোকানে যেয়ে নিমন্ত্রণ করা; একাকী নয়, তরুনের সাথে।
রাতে কীর্তন হবার পর অধিবাস; আমার ক্লান্ত দেহ খানা বাধ না মেনেই বিছানায় গড়িয়ে পরেছিল। পরদিন সকালে নামের সূচনা, খুব ভোরে। প্রথম দল আসার আগ পর্যন্ত মামার সাথে আমি ও মনতোষ মামা অবস্থান করেছিলাম।
সারাদিন ও রাত নাম চলল। পরেরদিন সকালে সমাপ্তি। তার পর নগর ভ্রমন। অনেক মজা করেছিলাম পাড়ার সব বাড়ী গুলো ঘুরেঘুরে। সাথো ঠাকুর নিয়ে ছিল দাদা আর প্রিয় শ্যামল দা। অবশেষে ঠাকুরকে ভোগ নিবেদনের পর ভোগ বিতরণ ও অনুষ্টানের সমাপ্তি। সাথে সাথে সমাপ্তি আমার ছুটিরও। কিন্তু বাড়ী ছেড়ে আসা দায়; আমারও কখনই ইচ্ছা করে না কখনও বাড়ী থেকে অন্য কোথাও যায়। কী আর করা, ছুটির জন্য আবেদন মোবাইলে। ছুটি পেয়েছিলাম কিন্তু সার্ভিসরুল অনুযায়ী শুক্র শনিবার কেও আমার ছুটির মধ্যে গননার শর্তে। আমার ছুটি হল মোট ৫ দিন; বছরের প্রথমেই ১৫ দিনের ৫ দিন শেষ। সার্ভিস রুল মানতে ভালোই লাগে; কিন্তু সেটা সবসময় মেনে চলা উচিত।(চাচীর ছালুনের জাগায় জাগায় ঝাল!!)
অবশেষে রোববার রাতের গাড়ীতে ঢাকায় ফেরা; অন্যভাবে না, আগের মতন ফেরী ঘাটে ৬ ঘন্টা বিলম্ব করে।
মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১১
ডিবিবিএল আইটি অফিস পিকনিক-২০১১
২১ শে ফেব্রুয়ারী অফিসের পক্ষ থেকে বনভোজনে গিয়েছিলাম, স্থান-প্রশিকা, মানিকগঞ্জ। দিনটি নিয়ে সবার মতন আমার মনেও বেশ আপত্তি ছিল, যদিও তার বহিঃপ্রকাশ উপযুক্ত স্থানে ছিল না। এই সব অনুষ্ঠান সম্পর্কে আমার ধারণা ছোট বেলা থেকেই খুব খারাপ, তার পরেও অফিসে প্রথম বারের জন্য হওয়ায় হালকা উৎসাহ মনের মধ্যে লালন করেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সময় মতনই সহকর্মী নির্ঝর দা ও তপন দাকে নিয়ে হাজির হলাম নির্ধারিত স্থানে। লটারী নামক একটি যন্ত্রনাময় জিনিস ডিবিবিএল পিকনিকের সাথে আষ্টেপিষ্টে লেগে আছে, আর সেই যন্ত্রনা বন্টনের দায়িত্ত্বটা ছিল আমার ও নির্ঝর দা'র উপর। চেষ্টা করেছিলাম বাসে উঠবার আগ পর্যন্ত কিন্তু তার পরে আর নয় আমার কাছ থেকে।
ওখানে যাবার পর বুঝতে পারলাম, আসলে পিকনিকটা আমাদের জন্য নয়। ডিবিবিএল বর্নবাদে বিশ্বাসী। এখানে দুটি জাত আছে: ১। কোর টিম ২।আনকোরা টিম(!)। আর কোথাও না হলেও আইটি ডিবিশনে এটা খুব প্রচলিত বর্ণ প্রথা। তথা কথিত কোর টিমের কাজ হল সব সময় এটা বুঝিয়ে চলা তারা সবার থেকে আলাদা এলিট সম্প্রদায়ের মানুষ। পিকনিকটাও সেই উচ্চবংশীয় কোর টিমের জন্য। আনকোরা টিমের কাজ হল তাদের বিনোদনের উপকরণ হওয়া। এরা না থাকলে ওটা পিকনিক ভাবের সৃষ্ঠি করে না শুধু মাত্র এজন্যই আমরা। পিকনিকের আরম্ভলগ্নেই কোন এক নেতার মুখ থেকে উচ্চরিত হল সেই যুদ্ধের দামামা।"এখন ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্টিত হবে কোর টিম বনাম অন্যান্যরা"। সারা বছরের সকাল থেকে মধ্যে রাত্রি পরিশ্রমের পর প্রিয একটি ছুটির দিন হারিয়ে জাতীয়তা বিসর্জন দিয়ে আনকোরা সবাই হাজির হয়েছে একটু নির্মল আনন্দ পাবার আশায়, কর্তাব্যাক্তিদের একটু অন্যভাবে পাবার জন্য। আর কোরমার্গীয়রা হাজির হয়েছে, একমাত্র মাঠ টিকে আটকে রেখে তাদের লীলাখেলা দেখানোর আশায়। আসলেই না হলে এটা কোর হবে কেন, যদি মৌলত্ত্বই না থাকল।
বিকালে শুরু হল, আনকোরাদের দর্শক হবার পর্ব। তারপর বাসায় ফেরার লগ্ন।
ভেবেছিলাম, অন্যকিছু হবে। অনেক মজা করব। উপভোগ করব নিজের মত। কিছুটা পেরেছি। কিন্তু সেটুকুও ম্লাণ হয়ে গেল রাজার নিজের রাজ্য নিজে দখল করবার খেলায়। আমার অন্য অভিজ্ঞতার থেকে আলাদা কিছু নয়।
কেউ আমার ব্লগ পড়ে না, আমি সেটা আশাও করিনা। আমাকে যারা ব্যক্তিগত ভাবে চেনে তারা সকলেই জানে আমি একটি সমস্যাপূর্ণ মানুষ, যেখানেই যাই সবখানেই সমস্যা। অন্য কারোর কাছে এই পিকনিকের অভিজ্ঞতাটিই হয়ত অনেক আনন্দের স্মৃতি বহুল। দ্বিমত পোষনকারী যারা, তাদের ভালোলাগার জন্য একটি ছোট্ট গল্প দিয়ে শেষ করবঃ
এক রোগীর সারা শরীরে খুব যন্ত্রনা। কোন উপায়ন্তর না পেয়ে সে ডাক্তারের শরণাপন্ন হল। ডাক্তার সাহেব তার সারা শরীরে পরীক্ষা করে দেখল তার কোথাও কোন ব্যাথা নাই। রোগীকে বলা মাত্র সে তো আকাশ থেকে বলল, কী বলেন ডাক্তার সাহেব। এই দেখুন আমি যেখানেই আঙুল রাখছি সেখানেই ব্যাথা পাচ্ছি, আর আপনি কিনা কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। তখন ডাক্তার দেখল, রোগী যে আঙুল দিয়ে তার শরীর টিপে দেখছে তার সেই আঙুলটাতেই ব্যাথা।
আমার সমস্যাটা হয়ত আমার আঙুলটাতেই।
ওখানে যাবার পর বুঝতে পারলাম, আসলে পিকনিকটা আমাদের জন্য নয়। ডিবিবিএল বর্নবাদে বিশ্বাসী। এখানে দুটি জাত আছে: ১। কোর টিম ২।আনকোরা টিম(!)। আর কোথাও না হলেও আইটি ডিবিশনে এটা খুব প্রচলিত বর্ণ প্রথা। তথা কথিত কোর টিমের কাজ হল সব সময় এটা বুঝিয়ে চলা তারা সবার থেকে আলাদা এলিট সম্প্রদায়ের মানুষ। পিকনিকটাও সেই উচ্চবংশীয় কোর টিমের জন্য। আনকোরা টিমের কাজ হল তাদের বিনোদনের উপকরণ হওয়া। এরা না থাকলে ওটা পিকনিক ভাবের সৃষ্ঠি করে না শুধু মাত্র এজন্যই আমরা। পিকনিকের আরম্ভলগ্নেই কোন এক নেতার মুখ থেকে উচ্চরিত হল সেই যুদ্ধের দামামা।"এখন ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্টিত হবে কোর টিম বনাম অন্যান্যরা"। সারা বছরের সকাল থেকে মধ্যে রাত্রি পরিশ্রমের পর প্রিয একটি ছুটির দিন হারিয়ে জাতীয়তা বিসর্জন দিয়ে আনকোরা সবাই হাজির হয়েছে একটু নির্মল আনন্দ পাবার আশায়, কর্তাব্যাক্তিদের একটু অন্যভাবে পাবার জন্য। আর কোরমার্গীয়রা হাজির হয়েছে, একমাত্র মাঠ টিকে আটকে রেখে তাদের লীলাখেলা দেখানোর আশায়। আসলেই না হলে এটা কোর হবে কেন, যদি মৌলত্ত্বই না থাকল।
বিকালে শুরু হল, আনকোরাদের দর্শক হবার পর্ব। তারপর বাসায় ফেরার লগ্ন।
ভেবেছিলাম, অন্যকিছু হবে। অনেক মজা করব। উপভোগ করব নিজের মত। কিছুটা পেরেছি। কিন্তু সেটুকুও ম্লাণ হয়ে গেল রাজার নিজের রাজ্য নিজে দখল করবার খেলায়। আমার অন্য অভিজ্ঞতার থেকে আলাদা কিছু নয়।
কেউ আমার ব্লগ পড়ে না, আমি সেটা আশাও করিনা। আমাকে যারা ব্যক্তিগত ভাবে চেনে তারা সকলেই জানে আমি একটি সমস্যাপূর্ণ মানুষ, যেখানেই যাই সবখানেই সমস্যা। অন্য কারোর কাছে এই পিকনিকের অভিজ্ঞতাটিই হয়ত অনেক আনন্দের স্মৃতি বহুল। দ্বিমত পোষনকারী যারা, তাদের ভালোলাগার জন্য একটি ছোট্ট গল্প দিয়ে শেষ করবঃ
এক রোগীর সারা শরীরে খুব যন্ত্রনা। কোন উপায়ন্তর না পেয়ে সে ডাক্তারের শরণাপন্ন হল। ডাক্তার সাহেব তার সারা শরীরে পরীক্ষা করে দেখল তার কোথাও কোন ব্যাথা নাই। রোগীকে বলা মাত্র সে তো আকাশ থেকে বলল, কী বলেন ডাক্তার সাহেব। এই দেখুন আমি যেখানেই আঙুল রাখছি সেখানেই ব্যাথা পাচ্ছি, আর আপনি কিনা কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। তখন ডাক্তার দেখল, রোগী যে আঙুল দিয়ে তার শরীর টিপে দেখছে তার সেই আঙুলটাতেই ব্যাথা।
আমার সমস্যাটা হয়ত আমার আঙুলটাতেই।
মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১১
সেই ভালো লাগা
তখন কর্নফুলী কাগজের রমরমা অবস্থা। আমি ছোটবেলা থেকেই কাগজ কলমের বিষয়ে খুবই সচেষ্ট ছিলাম। আমার বাবু সবসময়ই আমার সেই সচেষ্টতাকে সর্ম্মান জানিয়েছেন। তাই প্রথম থেকেই আমার লেখার খাতা গুলি কর্নফুলী কাগজ দিয়েই তৈরী করে দিতেন তিনি। বই, খাতা ও নিজের কলমের প্রতি ভালবাসা প্রথম থেকেই আমার খুব বেশী। খাতার কাগজ ছেড়া কিংবা অপরিস্কার করা আমি কখনই বরদাস্ত করতাম না। আমার এই মানসিকতাটি এখনও একটু মৃদু হলেও রয়ে গেছে।
তৃতীয় শ্রেনীতে সবে উঠেছি, প্রথমও হয়েছি। মানসিক ভাবে নিজেকে সবসময় খুব অন্যরকম মনে হত; যদিও নিজের কদসুরত দেখে প্রায়ই নিজেই মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পরতাম। কিন্তু সব কিছুকে উপেক্ষা করে আমার বেঞ্চের বিপরীতে ঠিক আমার সামনে বসা ছোট্ট মেয়েটিকে আমার খুব ভালো লাগত। ওর নামটি ছিল শশী। খুব বেশী কথা কখনই হয়নি।কিন্তু ওর সুন্দর মুখশ্রীর চোখে আমি সবসময়ই হারিয়ে যেতাম। আর তাই হারিকেনের আলোয় বসে অনেক গোপনীয়তা রক্ষা করে নিজের নতুন ক্লাসে উঠে তৈরী করা নতুন খাতার পৃষ্টা ছিড়ে আমি লিখেছিলাম কয়েকটি লাইন। একবার না; কয়েকবার। অবশেষে চূড়ান্ত একটি। মনে পড়ে খুব সুন্দর নিখুঁত ভাঁজ করে রেখেছিলাম আমার বইয়েরই কোন পৃষ্ঠাতে। ওকে দিব দিব করে সাহস সঞ্চয় করতে করতে একদিন শুনতে পেলাম ও স্কুল ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে ওর বাবার স্টেশন মাস্টারের চাকুরীর সুবাদে। আমার মনটা ভেঙ্গে গিয়েছিল। আমার এই ভালো লাগাটাও আকস্মিক ধাক্কা খেয়েছিল সেদিন; হয়ত ভালোই হয়েছিল, নতুবা খুব অল্প বয়সেই ইভটিজিং এর দায়ে আমাকেও কোন শাস্তি পেতে হত!!! ওর ধর্মছিল মুসলিম। সেদিন আমার ধর্মজ্ঞান ছিল না। ছিল শুধু ভালো লাগা। ওর মুখটা এখনও আমার সামনে একটা প্যাটার্নের মত দেখা দেয়। মনে হয় যদি কখনও ওকে দেখতে পেতাম, তবে বলতাম সেই গোপন ভাললাগার কথা; হয়ত কোন এক অংকুরের বিনাশের কথা।
অনেকেই আমার হাতের লেখার প্রশংসা করে থাকে; তাদের আমি মজা করে বলি-যদি ক্লাস থ্রি তে কেউ চিঠি লেখা শুরু করে তবে তারও সুন্দর হাতের লেখা হবার একটা সম্ভাবনা আছে!!!
তৃতীয় শ্রেনীতে সবে উঠেছি, প্রথমও হয়েছি। মানসিক ভাবে নিজেকে সবসময় খুব অন্যরকম মনে হত; যদিও নিজের কদসুরত দেখে প্রায়ই নিজেই মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পরতাম। কিন্তু সব কিছুকে উপেক্ষা করে আমার বেঞ্চের বিপরীতে ঠিক আমার সামনে বসা ছোট্ট মেয়েটিকে আমার খুব ভালো লাগত। ওর নামটি ছিল শশী। খুব বেশী কথা কখনই হয়নি।কিন্তু ওর সুন্দর মুখশ্রীর চোখে আমি সবসময়ই হারিয়ে যেতাম। আর তাই হারিকেনের আলোয় বসে অনেক গোপনীয়তা রক্ষা করে নিজের নতুন ক্লাসে উঠে তৈরী করা নতুন খাতার পৃষ্টা ছিড়ে আমি লিখেছিলাম কয়েকটি লাইন। একবার না; কয়েকবার। অবশেষে চূড়ান্ত একটি। মনে পড়ে খুব সুন্দর নিখুঁত ভাঁজ করে রেখেছিলাম আমার বইয়েরই কোন পৃষ্ঠাতে। ওকে দিব দিব করে সাহস সঞ্চয় করতে করতে একদিন শুনতে পেলাম ও স্কুল ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে ওর বাবার স্টেশন মাস্টারের চাকুরীর সুবাদে। আমার মনটা ভেঙ্গে গিয়েছিল। আমার এই ভালো লাগাটাও আকস্মিক ধাক্কা খেয়েছিল সেদিন; হয়ত ভালোই হয়েছিল, নতুবা খুব অল্প বয়সেই ইভটিজিং এর দায়ে আমাকেও কোন শাস্তি পেতে হত!!! ওর ধর্মছিল মুসলিম। সেদিন আমার ধর্মজ্ঞান ছিল না। ছিল শুধু ভালো লাগা। ওর মুখটা এখনও আমার সামনে একটা প্যাটার্নের মত দেখা দেয়। মনে হয় যদি কখনও ওকে দেখতে পেতাম, তবে বলতাম সেই গোপন ভাললাগার কথা; হয়ত কোন এক অংকুরের বিনাশের কথা।
অনেকেই আমার হাতের লেখার প্রশংসা করে থাকে; তাদের আমি মজা করে বলি-যদি ক্লাস থ্রি তে কেউ চিঠি লেখা শুরু করে তবে তারও সুন্দর হাতের লেখা হবার একটা সম্ভাবনা আছে!!!
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)