মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০১১

সহকর্মী মামুন ভাইয়ের সাথে,মঞ্চনাটক-বারামখানা

রিপোর্টিং বস্ নাই, অফিস প্রধানও অন্য অফিসে ব্যস্ত থাকায় অনেক দিনের লালায়িত স্বপ্ন টি সত্য করে ফেললাম। অনেক দিন পর আমার ভালো লাগার মত একটি মঞ্চ নাটক দেখে এলাম; যদিও পরিপূর্ন তৃপ্তি বোলতে যেটা বুঝায় সেটা পাইনি। উদ্দেশ্য ছিল অন্য একটি কিন্তু সেটার অনুপস্থিতির জন্য আরেক টি দেখলাম। সাথে সাথে আরেক জনের হাতেখড়িও হল। আমি নিশ্চিত, আমি কখনও নাটক দেখা ছেড়ৈ দিলেও সে ছাড়বে না। পূর্ব ইতিহাস আ‌মার সেটাই বলে। আমি যাকে সিগারেট খাওয়া শিখিয়েছি, সে এখন আমার সামনে বসে একের পর এক সিগারেট ফুঁকে যায় যেখানে আমি মানুষের সামনে সিগারেট টানেত খুবই অপছন্দ করি। আমার প্রিয় মামুন ভাইয়ের ক্ষেত্রে একি রকম কিছু হলে আমার ভালো লাগবে। আজকের দেখা নাটক টি হল- বারামখানা। নাটকের প্রথমাংশ আমাকে ওভাবে টানতে পারেনি, সম্ভবত প্রধান চরিত্রের দূর্বলতার জন্য। কিন্তু নাটকটিতে বাংলাদেশের একটি নাট্য পরিবার কে এক সাথে পেয়ে ভালো লাগলো নি:সন্দহে। ত্রপা মজুমদারের সাথে তার বাবা ও মা ,রামেন্দ্র মজুমদার ও ফেরদৌসী মজুমদার। নাটকটি পরিবেশনায় ছিল থিয়েটার। জাতীয় নাট্য শালায় এটা আমার প্রথম নাটক দেখা। সব কিছুর মধ্য টকটি বিষয়ে খুনই হতাশ হলাম, প্রথম আলোর মত একটি পত্রিকাতে প্রকাশিত হবার পরও ও কেন একটি নাট্য সম্প্রদায় তাদের পূর্ব নির্ধারিত মঞ্চায়ণ থেকে সরে যায়। এটা শুধু মাত্র দর্শক দের বিরক্তই করবে না, তাদের অনেক কিছুর প্রতি তাদের ঋালো ধারণদা গুলো কেও নষ্ট করবে।

মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১১

চরম ফালতু দিন পার করলাম, না কী এটা শুরু?

দিনটি যে কিভাবে গেল; একটুও ভালো লাগা অনুভূতি নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠা দিয়ে শুরু করে। সারাদিন সিকিমুঠো খেয়ে কাটালাম। রৌদ্রজ্জ্বল সুন্দর দিনটাতে ঈশ্বর আমাকে ছাতা মাথায় দেয়া স্বত্ত্বেও কুকুরের থেকে খারাপ ভাবে ভিজালো।অফিসে সকাল থেকে কাজ শুরু করে রাত ১০ টা পর্যন্ত কাজ করা স্বত্ত্বেও কোন কাজে কোন সথলতা পেলাম না। এরকম অনেকদিন হয় না। আজ হল। মাথার মধ্যে ঝিনঝিন করছে, রাগও হচ্ছে সেরকম। পুরো ফালতু দিন। আগামীকালের কথা মাথায় আসলে আরো রাগ হচ্ছে। আমার খুব ভালো করে জানা আছে, আজকের বিথলতার চাপ আগামীকাল আরো বেশী ভোগাবে। একটা কড়া ঘুমের দরকার। রাত ৩ টা পর্যন্ত হোম, ষজ্ঞ, আরোধনা করলেও উনি আমাকে ধরা দিতে চান না। মাথা খুবই খারাপ। চেচাতেইচ্ছা হচ্ছে। এরকম দিনে বল্গ লৈখার মতন অবস্থা না, কিন্তু এরকম একটি দুস্প্রাপ্য দিনকে লিখে না রাখলে কি করে হয়। কেউ কি আর কী এর পার্থক্য জানলে, মন্তব্য তে লিখে দিয়েন।।।।।।।।। বি:দ্র: হয়ত বিশ্বাস করবেন না, পোস্টটি দিতে এত বেগ পেতে হল; কোন দিন ব্লগে লেখার পর পোস্ট দিতে যেয়ে এত কষ্ট হয় নি।

শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১১

Eid Duty

ঈদের দিন গুলোতে অফিসে দায়িত্ত্ব থাকে। ভালোই লাগে এ সময় টাতে। এমনিতেই ঈদের ছুটিতে বাড়ীতে যাওয়াটা খুব ই কষ্টের কাজ যাতায়াত সমস্যার কারণে।আর ঈদের সময়টাই তো ঢাকা কে উপভোগ করবার একমাত্র সময়(যদিও আমি কখনও সেভাবে করি না)। অফিসে এসেও খুবই ভালো লাগে। একটি অন্যরকম অফিসের আস্বাদ পাওয়া যায়। সালাম দেবার ঝামেলা থাকে না; ভীত সন্ত্রস্ত হবার ও দরকার হয় না। কাজ বলতে তেমন কিছুই থাকে না। বেশীর ভাগ সময়টা কেটে যায় টেলিভিশনের ঈদের অনুষ্টান দেখে। তবে একটা সমস্যা রয়েছে- বাস পাওয়া নিয়ে। বাস পেয়ে গেলে খুব বেশী সময় লাগে না বাসায় যেতে, কিন্তু সেটাকে পাওয়াটাই সমস্যা। এখন ডিউটিতেই আছি; কি আর করি! সময়টা কাটানোর চেষ্টা করছি। আমার আবার ঘুমের খুব প্রাদুর্ভাব। ভদ্রলোক আমাকে খুবই এড়িয়ে চলে। উনি বিশ্বাস করে না যে উনাকে আমি খুব একটা পছন্দ না করলেও এই সময়টাতে করে থাকি।

শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১১

না কবিতা::: কালের আবর্তে আমি , javamail, cron

একটি কবিতা লিখলাম------"না কবিতা::: কালের আবর্তে আমি "

javamail: The API of java to send mailby accessing the service of mail server.
Java code has been designed to send mail using javamail. Post at Paulsoftech

cron: part of Google Web engine. cron helps to perform scheduled work defined at the cron.xml file.
cron in detail

নতুন যা শিখলাম- যাত্রা শুভ হউক

একটি নতুন চিন্তা মাথায় অনেক দিন ধরেই আসছিল, কিন্তু করা হচ্ছিল না। এখন করব। তেমন কিছু না, শুধু মাত্র একটি নতুন পদক্ষেপ।
আমরা প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখি প্রত্যেকেই। কিন্তু সবাই ভুলে যায় কবে কি শিখলাম; এমনকি অনেক শিক্ষা আমরা নিই, কিন্তু সেটা শিক্ষা মনে হয় না। এখন থেকে কোন দিন কোন নতুন কিছু জানলে বা শিখলেই সেটা 'নতুন যা শিখলাম' ট্যাগের মধ্য নোট করে রাখার চেষ্টা করব।

শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০১১

নষ্ট ছুটির দিন

প্রতিটি ছুটির দিনই একই ভাবে নষ্ট হচ্ছে। খুব দু:চিন্তায় আছি এটা নিয়ে। ছুটির আগের রাতে ঘুম আসে না, ানেক রাতে ঘুমাই। আর ছুটির দিনে ঘুম থেকে উঠি মধ্য দুপুরে। একটি মানুষ সদৃশ প্রানীর জীবন এভাবে চলতে লাগলে তো সামনে ঘোর তিমিরাচ্ছন্ন। দিন গুলো প্রতি নিয়ত নষ্ট হচ্ছে। পতিটা ছুটির রাতে মনে হয়, সামনের দিন থেকে আর এরাকম করব না, কিন্তু আমি ব্যর্থ। নিতের এই পঁচে য়াওয়া নিয়ে খুব ি ক্ষট হয়। কাজের কাজ কিছু করা হচ্ছে না। পড়াশোনাও করি না যেটা ক্রমশ দূরে চলে যাচ্ছে।কি করব আমি, সেটা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। প্রভু ানুগ্রহ করে আমাকে সঠিক পথে চালনা কর। আমি আর পাচ্ছি না

শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১১

মিশুক মুনীর, জানি আপনার কাছে কখনও এটা পৌছাবে না

আমার সময়টা কেমন যাবে, সেটার খবরাখবর আমি একটু আগে থেকে নিতে ভালোবাসি। আর এজন্য আমি সব সময় রাশীফল বিশ্বাস করি প্রচন্ড ভাবে। আর কারোর সাথে এটা খুব বেশী না খাটলেও, আমার সাথে একটু বেশীই মেলে। গত একমাস আগে আমি দেখেছিলাম, চলতি দু'মাস আমি পরিচিত কারোর আকস্মিক মৃত্যু সংবাদ পাবো। একটা যথারীতি পেয়ে গেছি ২ সপ্তাহ আগে; আরেকটা পেলাম। আপনার মৃত্যু সংবাদ টি শুধু দেশ নয়, গোটা বিশ্বের কাছে একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ সংবাদ। কিন্তু আমার কাছে এটি খুব একটি সাধারণ পর্যায়ের নয়।
অফিসের কাজের পাশাপাশি যে কাজটি আমি খুব ভালোভাবে করি সেটা হল, নিয়মিত টেলিভীশন দেখা। আর এটিএন নিউজ আমার সারা দিনের সংগী। জানি না, কেন এত ভালো লাগে। টেলিভিশন টির সুবাদে আপনার সৃষ্টিকর্ম সব সময় দেখবার পাশাপাশি, আপনাকেও কয়েকবার দেখার সুযোগ হয়েছিল। এবং শুধু দর্শন মাত্রই আমার ধারণা হয়েছিল, আপনি একজন কাজ পাগল ও সৃষ্টিশীল মানুষ বাদে অন্য কিছুই হতে পারেন না। আপনার চোখেই আমার মত সাধারণ দর্শক টেলিভিশনের মাধ্যমে গোটা সমাজ কে দেখি। সেই চোখ দুটো আমরা হারালাম। জানি না আর কখনও আপনার মত চোখ পাবো কিনা, যেখানে আমার মত মানুষের চোখ মিলিয়ে নিতে পারবে। আপনার আরো কিছু পরিচয়, জানতে পারলাম আপনি ও পারে চলে যাবার পর। সবাই হয়ত আপনাকে চিনবে না, কিন্তু বাংলাদেশের আপামর মানুষ স্বীকার করবে একুশে'র সংবাদের কথা, তার সুপরিচিতির কথা। তারা যদি শুনতে পান, যে তার পিছনের মানুষ তাদের ছেড়ে অনেক দূরে চলে গেছেন। তারা শুধু আপশোস করবে না, করবে বিলাপ। সেই বিলাপ হবে মানুষের অন্তেরের অন্তরস্থলে।