উপলব্ধি ও অভিজ্ঞতার মধ্যে একটু পার্থক্য আছে। অভিজ্ঞতার ভিতর থেকে যে নির্যাসটুকু মন গ্রহন করে নেয় সেটাই উপলব্ধি। সব কিছুর মতই উপলব্ধি সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে পারে; কিন্তু সেটার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। চলমান জীবনে আমার উপলব্ধি খুব বেশী না; সেগুলো আবার প্রায়শই হারিয়ে যায় মনের ভিতরে; কিছু কিছু ঘটনা আবার সেটাকে জাগিয়ে তোলে।
আমাকে আমার বাবা মা কিংবা ঈশ্বর একটু বেশীই ভালোবাসে। তারা খুব সহজেই যেকোন দাবী মেনে নেয়। ঈশ্বেরের কাছে, আমি এমন কিছু নেই যা চেয়ে পাইনি। তেমনি বাবা মা'র কাছেও। আর এসব চাওয়া জিনিস পরবর্তীতে আমার জীবন কে যে ভাবে আন্দোলিত করেছে, তাতে একটা উপলব্ধি হয়েছৈ আমার। যারা আমাকে খুব ভালোবাসে, তাদের কাছে কোন নিদিষ্ট আবদার করতে নেই। যেহেতু তারা আমাকে ভালোবাসে ও জানে, তারা এটাও জানে কোন জিনিস টা আমাকে মানায় কিংবা কোন দ্রব্যটি আমার উপকারে আসবে। ঈশ্বেরর কাছেও একটাই কামনা, আমি জানি না কিসে আমার ভালো আর কিসেই বা খারাপ। সর্বজান্তা তুমি, তুমিই জানো আমার জন্য কেনটা ভালো হবে। তোমাদের কাছে আমার আর কিছু চাওয়া নেই।।।।।।
বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০১১
মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০১১
সমীনরণ দা ও জলি দি'র তনয়ার জন্য
হঠাৎ করেই মন থেকে বের হল লাইন গুলো। উদ্দেশ্য একজনই- প্রিয় সমীরণ দা ও জলি দি'র নবাগত কন্যাটির উদ্দেশ্য। ও বুঝতে পারবে না এখন হয়ত। কিন্তু আমার বিশ্বাস ওর বাবা মায়ের ভালো লাগলেই ও সেটা অনুভব করতে পারবে।
তোমারি হাসিতে পাবে যে ভয়, সহস্র দু:খ কষ্ট
কতযে অসময় হবে দু:খী হইয়া লক্ষ্যভ্রষ্ট-
সব আনন্দ হবে যে ব্যাকুল সহচরী হতে তোমার
অনন্ত সুখে রাখুক ঈশ্বর, প্রার্থনা আমার
আমার ইচ্ছা ও বুঝতে শুরু করার পর ওকে এই লাইন গুলো শুনাবো। ও নিশ্চয় খুব খুশি হবে; কবিতার জন্য না, জন্মক্ষনের এই জিনিসটিই শুধুমাত্র ও নাগালে পাবে; আর কিছুই না। ধরনীতে আসার পর, ওর উদ্দেশ্য প্রথম কবিতা এটি। আমারও প্রথম, কোন নবাগতার জন্য
বি:দ্র: কোন অনুমোদিত নাম না থাকায়, নামটি ব্যবহার করা হল না তোমার-তনয়া
তোমারি হাসিতে পাবে যে ভয়, সহস্র দু:খ কষ্ট
কতযে অসময় হবে দু:খী হইয়া লক্ষ্যভ্রষ্ট-
সব আনন্দ হবে যে ব্যাকুল সহচরী হতে তোমার
অনন্ত সুখে রাখুক ঈশ্বর, প্রার্থনা আমার
আমার ইচ্ছা ও বুঝতে শুরু করার পর ওকে এই লাইন গুলো শুনাবো। ও নিশ্চয় খুব খুশি হবে; কবিতার জন্য না, জন্মক্ষনের এই জিনিসটিই শুধুমাত্র ও নাগালে পাবে; আর কিছুই না। ধরনীতে আসার পর, ওর উদ্দেশ্য প্রথম কবিতা এটি। আমারও প্রথম, কোন নবাগতার জন্য
বি:দ্র: কোন অনুমোদিত নাম না থাকায়, নামটি ব্যবহার করা হল না তোমার-তনয়া
লেবেলসমূহ:
উৎসর্গ,
প্রথম অভিজ্ঞতা
ঈদের দায়িত্ত্ব
আর এক ঘন্টা পর আমার ঈদের বিশেষ দায়িত্ত্ব শেষ হবে। তিন মেয়াদে মোট ৩২ ঘন্টা বলতে গেলে একাই কাটালাম। এক অপূর্ব আভিজ্ঞতা ও সময় পার করলাম। কিন্তু এত সুন্দর সময়ের মধ্যে সেভাবে আমার প্রিয় কাজ বল্গ লেখা হয়ে ওঠে নি। এজন্য শেষ মূহুর্তে একটু হালাল করছি সময় টাকে। অন্য সব ঈদের দায়িত্ত্বের মত এবারের দায়িত্ত্বটা টিভি দেখে পার করতে পারলাম না। সামান্য টুকুও আফসোশ নেই তার জন্য। শুধু সফট্ওয়ার প্রকৌশলের মধ্যই ছিলাম( আমি প্রোগ্রামিং শব্দ টা খুবই অপছন্দ করি)। কিন্তু তার পরেও জানি তাকে আমি খুশি করতে পারব না আমার অগ্রগতি দিয়ে। আরেক জন কে সাথে রেখেছিলাম; তিনি সোমলতা আচার্য্য। আমি অনেক আগে তার গান শুনেছি তিনি তখন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী নয়। সব দিক থেকেই ভালো লাগতো। এখন নিয়মিত গান করে; প্রয়োজন ছিল ইনার মত একজন বহুমুখী শিল্পীর। উনার গান শুনতে শুনতে সব সময়ই এটা মনে হয়েছে।
সর্বোপরি ঈদের ছুটিটা খুবই দরকার ছিল। কারণ আমার ছুটির দরকার। ঈদের সময় ছুটিটা না পেয়েই ভালো হয়; নিজেরও কষ্ট আর অন্যদেরকেও যানবাহনে ভিড় বাড়িয়ে কষ্ট দেয়া।
ওহ, আরেকটি বিষয় আমাকে মনে রাখতে হবে- আগে ধারণা ছিল ঈদের দায়িত্ত্বে আসলে কোন কাজ নাই। এবার উপলব্ধি হল, দায়িত্ত্ব আসলেই দায়িত্ত্ব; অনেক কিছুই সজাগ ভাবে দেখার প্রয়োজন আছে।
যাই হউক; ঈদের দায়িত্ত্ব, তোমাকে ৯টি মাস খুবই মিস্ করব।
সর্বোপরি ঈদের ছুটিটা খুবই দরকার ছিল। কারণ আমার ছুটির দরকার। ঈদের সময় ছুটিটা না পেয়েই ভালো হয়; নিজেরও কষ্ট আর অন্যদেরকেও যানবাহনে ভিড় বাড়িয়ে কষ্ট দেয়া।
ওহ, আরেকটি বিষয় আমাকে মনে রাখতে হবে- আগে ধারণা ছিল ঈদের দায়িত্ত্বে আসলে কোন কাজ নাই। এবার উপলব্ধি হল, দায়িত্ত্ব আসলেই দায়িত্ত্ব; অনেক কিছুই সজাগ ভাবে দেখার প্রয়োজন আছে।
যাই হউক; ঈদের দায়িত্ত্ব, তোমাকে ৯টি মাস খুবই মিস্ করব।
লেবেলসমূহ:
নতুন যা শিখলাম,
DBBL,
Recent Days
স্টীভজবস্ কে নিয়ে
ডিসকভারী চ্যানেলে গতকাল রাতে স্টীভজবস্ কে নিয়ে iGenious নামক একটি অনুষ্ঠান দেখলাম। সব কিছু বুঝতে পারিনি স্যাটেলাইট ও আমার মস্তিস্কের পুরু প্রাচীরের জন্য। তার জানা দুটি কথা নতুন ভাববে শুনতে পেলাম।
স্টীভজবস্ বিশ্বাস করতেন,নরম ও সরল কিছু করতে হলে অবশ্যই সৃস্টিকারীকে শক্ত হতে হবে। আর কোন কাজ কে জটিল করার মধ্যে কোন বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায় না। আসল বুদ্ধিমত্তার পরিচয় একটি জটিল কাজকে যতটা সম্ভব সহজ ও সরল ভাবে করার মধ্যে।
বস হিসাবে স্টীভজবস্ খুবই কঠিন মনের মানুষ ছিলেন একজন। কখনও কখনও ুনি প্রকৌশলীদের রাগ করে বলতেন- কাজটা শেষ না করে মুখ দেখাবে না আমাকে। তার সাথে থাকতো তার অত্যাধিক কাজের চাপ। মূলত এরকম কিছু কারনের জন্যই তাকে ছেড়ে যেতে হয়েছিল নিজের এ্যাপল কে। যদিও সবই ছিল নিজের স্বপ্নকে পূরন করবার জন্য
স্টীভজবস্ বিশ্বাস করতেন,নরম ও সরল কিছু করতে হলে অবশ্যই সৃস্টিকারীকে শক্ত হতে হবে। আর কোন কাজ কে জটিল করার মধ্যে কোন বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায় না। আসল বুদ্ধিমত্তার পরিচয় একটি জটিল কাজকে যতটা সম্ভব সহজ ও সরল ভাবে করার মধ্যে।
বস হিসাবে স্টীভজবস্ খুবই কঠিন মনের মানুষ ছিলেন একজন। কখনও কখনও ুনি প্রকৌশলীদের রাগ করে বলতেন- কাজটা শেষ না করে মুখ দেখাবে না আমাকে। তার সাথে থাকতো তার অত্যাধিক কাজের চাপ। মূলত এরকম কিছু কারনের জন্যই তাকে ছেড়ে যেতে হয়েছিল নিজের এ্যাপল কে। যদিও সবই ছিল নিজের স্বপ্নকে পূরন করবার জন্য
মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০১১
সহকর্মী মামুন ভাইয়ের সাথে,মঞ্চনাটক-বারামখানা
রিপোর্টিং বস্ নাই, অফিস প্রধানও অন্য অফিসে ব্যস্ত থাকায় অনেক দিনের লালায়িত স্বপ্ন টি সত্য করে ফেললাম। অনেক দিন পর আমার ভালো লাগার মত একটি মঞ্চ নাটক দেখে এলাম; যদিও পরিপূর্ন তৃপ্তি বোলতে যেটা বুঝায় সেটা পাইনি। উদ্দেশ্য ছিল অন্য একটি কিন্তু সেটার অনুপস্থিতির জন্য আরেক টি দেখলাম। সাথে সাথে আরেক জনের হাতেখড়িও হল। আমি নিশ্চিত, আমি কখনও নাটক দেখা ছেড়ৈ দিলেও সে ছাড়বে না। পূর্ব ইতিহাস আমার সেটাই বলে। আমি যাকে সিগারেট খাওয়া শিখিয়েছি, সে এখন আমার সামনে বসে একের পর এক সিগারেট ফুঁকে যায় যেখানে আমি মানুষের সামনে সিগারেট টানেত খুবই অপছন্দ করি। আমার প্রিয় মামুন ভাইয়ের ক্ষেত্রে একি রকম কিছু হলে আমার ভালো লাগবে।
আজকের দেখা নাটক টি হল- বারামখানা। নাটকের প্রথমাংশ আমাকে ওভাবে টানতে পারেনি, সম্ভবত প্রধান চরিত্রের দূর্বলতার জন্য। কিন্তু নাটকটিতে বাংলাদেশের একটি নাট্য পরিবার কে এক সাথে পেয়ে ভালো লাগলো নি:সন্দহে। ত্রপা মজুমদারের সাথে তার বাবা ও মা ,রামেন্দ্র মজুমদার ও ফেরদৌসী মজুমদার। নাটকটি পরিবেশনায় ছিল থিয়েটার। জাতীয় নাট্য শালায় এটা আমার প্রথম নাটক দেখা। সব কিছুর মধ্য টকটি বিষয়ে খুনই হতাশ হলাম, প্রথম আলোর মত একটি পত্রিকাতে প্রকাশিত হবার পরও ও কেন একটি নাট্য সম্প্রদায় তাদের পূর্ব নির্ধারিত মঞ্চায়ণ থেকে সরে যায়। এটা শুধু মাত্র দর্শক দের বিরক্তই করবে না, তাদের অনেক কিছুর প্রতি তাদের ঋালো ধারণদা গুলো কেও নষ্ট করবে।
মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১১
চরম ফালতু দিন পার করলাম, না কী এটা শুরু?
দিনটি যে কিভাবে গেল; একটুও ভালো লাগা অনুভূতি নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠা দিয়ে শুরু করে। সারাদিন সিকিমুঠো খেয়ে কাটালাম। রৌদ্রজ্জ্বল সুন্দর দিনটাতে ঈশ্বর আমাকে ছাতা মাথায় দেয়া স্বত্ত্বেও কুকুরের থেকে খারাপ ভাবে ভিজালো।অফিসে সকাল থেকে কাজ শুরু করে রাত ১০ টা পর্যন্ত কাজ করা স্বত্ত্বেও কোন কাজে কোন সথলতা পেলাম না। এরকম অনেকদিন হয় না। আজ হল। মাথার মধ্যে ঝিনঝিন করছে, রাগও হচ্ছে সেরকম। পুরো ফালতু দিন। আগামীকালের কথা মাথায় আসলে আরো রাগ হচ্ছে। আমার খুব ভালো করে জানা আছে, আজকের বিথলতার চাপ আগামীকাল আরো বেশী ভোগাবে। একটা কড়া ঘুমের দরকার। রাত ৩ টা পর্যন্ত হোম, ষজ্ঞ, আরোধনা করলেও উনি আমাকে ধরা দিতে চান না। মাথা খুবই খারাপ। চেচাতেইচ্ছা হচ্ছে। এরকম দিনে বল্গ লৈখার মতন অবস্থা না, কিন্তু এরকম একটি দুস্প্রাপ্য দিনকে লিখে না রাখলে কি করে হয়।
কেউ কি আর কী এর পার্থক্য জানলে, মন্তব্য তে লিখে দিয়েন।।।।।।।।।
বি:দ্র: হয়ত বিশ্বাস করবেন না, পোস্টটি দিতে এত বেগ পেতে হল; কোন দিন ব্লগে লেখার পর পোস্ট দিতে যেয়ে এত কষ্ট হয় নি।
শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১১
Eid Duty
ঈদের দিন গুলোতে অফিসে দায়িত্ত্ব থাকে। ভালোই লাগে এ সময় টাতে। এমনিতেই ঈদের ছুটিতে বাড়ীতে যাওয়াটা খুব ই কষ্টের কাজ যাতায়াত সমস্যার কারণে।আর ঈদের সময়টাই তো ঢাকা কে উপভোগ করবার একমাত্র সময়(যদিও আমি কখনও সেভাবে করি না)। অফিসে এসেও খুবই ভালো লাগে। একটি অন্যরকম অফিসের আস্বাদ পাওয়া যায়। সালাম দেবার ঝামেলা থাকে না; ভীত সন্ত্রস্ত হবার ও দরকার হয় না। কাজ বলতে তেমন কিছুই থাকে না। বেশীর ভাগ সময়টা কেটে যায় টেলিভিশনের ঈদের অনুষ্টান দেখে। তবে একটা সমস্যা রয়েছে- বাস পাওয়া নিয়ে। বাস পেয়ে গেলে খুব বেশী সময় লাগে না বাসায় যেতে, কিন্তু সেটাকে পাওয়াটাই সমস্যা। এখন ডিউটিতেই আছি; কি আর করি! সময়টা কাটানোর চেষ্টা করছি। আমার আবার ঘুমের খুব প্রাদুর্ভাব। ভদ্রলোক আমাকে খুবই এড়িয়ে চলে। উনি বিশ্বাস করে না যে উনাকে আমি খুব একটা পছন্দ না করলেও এই সময়টাতে করে থাকি।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)